Advertisment

বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নয়, গণতান্ত্রিক পথেই উৎখাত মমতা সরকারকে

রাষ্টপতি শাসন নয় গণতান্ত্রিক উপায়েই মমতা সরকারকে উৎপাটন করা হবে বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বাংলায় রাষ্ট্রপতির শাসন জারি নিয়ে যতই হম্বিতম্বি করুক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা খারিজ করে দিয়েছে। রাষ্টপতি শাসন নয় গণতান্ত্রিক উপায়েই মমতা সরকারকে উৎপাটন করা হবে বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। এরাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা তুলে ধরে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব মাঝে-মধ্যেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানান। তবে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে বলে জানিয়ে দেন নাড্ডা।

Advertisment

দুদিনের সফরে নাড্ডার লক্ষ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই কেন্দ্র। ভবানীপুরে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে সামিল হয়েছেন বিজেপি সভাপতি। জনসভা করেন ডায়মন্ড হারবারে। এই দুই কেন্দ্রে কর্মসূচি শেষ করে নাড্ডা জানিয়ে দেন দুর্নীতি, কাটমানি, অনুন্নয়ন, আইন শৃঙ্খলার অবনতি, সব কিছুই রয়েছে ভবানীপুর ও ডায়মন্ড হারবারে। সারা রাজ্যেই এক অবস্থা বলেই তাঁর দাবি। মূলত এই দুই কেন্দ্রে কর্মসূচি রূপায়ণ করাই ছিল নাড্ডার এবারের সফরের মূল লক্ষ্য।

আরও পড়ুন, পরিকল্পিত হিংসা! নাড্ডার কনভয়ে হামলায় রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন শাহ

বৃহস্পতিবারই জেপি নাড্ডার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরে। তারপরও নাড্ডার কনভয়ের ওপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। আহত হন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই। বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়। নাড্ডার দাবি, "দলের কর্মীদের ৫০টি মোটর সাইকেলের কোনও হদিশ নেই।" হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। স্বভাবতই ফের রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করতে থাকেন রাজ্য বিজেপির একাংশ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে দলের নেতা-কর্মীরা।

আরও পড়ুন, ডায়মন্ড হারবারে পদ্মফুল ফোটাবই, মমতাকে ছুটি দিন: নাড্ডা

নাড্ডা এদিন ফের কাটমানি ও সিন্ডিকেট নিয়ে সরব হয়েছেন সাংবাদিক বৈঠকে। তিনি বলেন, "তৃণমূল চাল চোর, ত্রিপল চোর, রেশন চোর। তাছাড়া রাজ্যজুড়ে নানা ধরনের সিন্ডিকেটের কারবার চলছে। এখন তো আলু সিন্ডিকেট, বালি সিন্ডিকেটের রমরমা।" "দুর্নীতি খোলসা যাতে না হয় তার জন্য আমফান নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কের্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার," বলেছেন নাড্ডা।

এক প্রশ্নের জবাবে জেপি নাড্ডা বলেন, "গণতান্ত্রিক ভাবেই এই সরকারকে উৎখাত করা হবে। রাষ্ট্রপতির শাসন জারির প্রয়োজন হবে না। ডাবল ইঞ্জিন সরকার হলে রাজ্যে আমূল পরিবর্তন হবেই।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

west bengal politics bjp JP Nadda
Advertisment