গুজরাটে আধিপত্য রেখে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। পেয়েছে ৫২.৫% ভোট। আর, তার জেরে অন্যান্য দলের বহু প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার মধ্যে যেখানেই বিজেপি বিপুল ব্যবধানে জিতেছে, সেখানেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে একাধিক দলের প্রার্থীর। সব মিলিয়ে জামানত খোয়ানো প্রার্থীদের সংখ্যাটা বিশাল। পরিসংখ্যান বলছে, এবারের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১,৬২১ জন। তার মধ্যে ১,২০০-রও বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই সব প্রার্থীদের মধ্যে যেমন নির্দলরা আছেন। তেমনই আছেন কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির মত প্রথমসারির বিরোধী দলের প্রার্থীরাও।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাটে আম আদমি পার্টি মোট ভোটের ১২.৯২% পেয়েছে। তারা জিতেছে ৫টি আসনে। ৩৫টি আসনে তারা ছিল দ্বিতীয় স্থানে। কংগ্রেস পেয়েছে মোট ভোটের ২৭.২৮%। জিতেছে ১৭টি আসনে। একজন প্রার্থী তখনই জামানত হারান, যখন তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা মোট বৈধ ভোটের ছয় ভাগের মধ্যে এক ভাগেরও কম হয়। অথবা প্রাপ্ত ভোট, বৈধ ভোটের ১৬.৬৭%-এরও কম হয়।
একটা উদাহরণেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। যেমন, আহমেদাবাদে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের ঘাটলোদিয়া আসন। এই কেন্দ্রে ভূপেন্দ্র পেয়েছেন ৮৩% ভোট। আর কংগ্রেস প্রার্থী, রাজ্যসভার সাংসদ অ্যামি ইয়াগনিক পেয়েছেন মাত্র ৮.২৬% ভোট। আর, ওই কেন্দ্রের আপ প্রার্থী বিজয় প্যাটেল পেয়েছেন ৬.২৮% ভোট।
আরও পড়ুন- ভোটে জামানত বাজেয়াপ্ত হলে, টাকাটার কী হয় জানেন?
ঘাটলোদিয়া ছাড়াও কংগ্রেস এবং আপ, উভয় দলের প্রার্থীই যেসব কেন্দ্রে জামানত হারিয়েছে, সেগুলো হল- বরদোলি, চোরিয়াসি, এলিসব্রিজ, হালোল, ঝাগাদিয়া, কালোল, মাজুরা, মণিনগর, মঞ্জলপুর, নারানপুরা, পারডি, রাজকোট দক্ষিণ, রাজকোট পশ্চিম, সবরমতী, পশ্চিম সুরাট, উধনা, ওয়াঘোদিয়া এবং ভালসাদ। এছাড়াও ঝগড়িয়ার কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করতেই হবে। কারণ, এটি উপজাতি অধ্যুষিত।
এই কেন্দ্রকে ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি বা বিটিপির ছোটুভাই ভাসাভার গড় বলা যায়। কংগ্রেসের সহযোগী দল হিসেবে বিটিপি এই কেন্দ্রে ২০১৭ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এবার ভাসাভা নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু, এবার বিজেপি ঝগড়িয়া জিতে নিয়েছে। ভাসাভার চেয়ে বিজেপি প্রার্থী ৩৩,০০০ ভোট বেশি পেয়েছেন। আর, কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৭.৭১% ভোট। আপ প্রার্থী পেয়েছেন ৯.৯৯% ভোট।
Read full story in English