ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে একটি পরিবারের একজন সদস্যই টিকিট পাবেন, রাজস্থানের উদয়পুরে তিন দিনের চিন্তন শিবির শেষে এই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির। একইসঙ্গে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি থেকে শুরু করে দলের সব স্তরে ৫০-এর কম বয়সীদের জন্য ৫০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব ও পাঁচ বছরের মেয়াদ স্থির করার সিদ্ধান্তেও অনুমোদন দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
উদয়পুর কংগ্রেসের নব সংকল্প শিবিরে ওঠা প্রস্তাবগুলি সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে চলা দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে গৃহীত হয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, কংগ্রেসের তিন দিনের এই চিন্তন শিবিরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 'এক পরিবার, এক টিকিট' নীতি নিয়েছে কংগ্রেস। একইসঙ্গে যে কংগ্রেস নেতাদের ছেলে, মেয়ে এবং অন্য আত্মীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তাঁদের অন্তত পাঁচ বছর দলের জন্য কাজ করা উচিত বলেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি সাংগঠনিক ও নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দলের সভানেত্রীকে সহায্য করতে দলের মধ্য থেকেই একটি ছোট রাজনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি গঠনের প্রস্তাবেও অনুমোদন করেছে। তবে সংসদীয় বোর্ড প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব ওয়ার্কিং কমিটি খারিজ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরার ১১তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ মানিক সাহার
এরই পাশাপাশি দলের ভেঙে পড়া সংগঠন চাঙ্গা করতে সব রাজ্যে একটি রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি গঠন করা হবে। দলের নেতাদের প্রশিক্ষণের জন্যও জাতীয়-স্তরে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আসন্ন নির্বাচনগুলির জন্যও কৌশল নির্ধারণ থেকে শুরু একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কংগ্রেস বিশেষ একটি কমিটি তৈরি করবে বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
উদয়পুরে কংগ্রেসের এই চিন্তন শিবিরে আলোচনার প্রথম দিনে সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, ''আত্মসমালোচনার সময় এসেছে। অপ্রত্যাশিত একটি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে দল। কল্পনাতীত এই পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে বের করতে অসাধারণ একটি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।'' কংগ্রেসের পুনর্গঠনে দলের নেতাদের সংগঠনের সব পদে থাকার ক্ষেত্রে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বয়সের একটি সীমা থাকার কথা তুলে ধরা হয়েছিল প্রথম দিনের আলোচনাতেই। অবশেষে ঘুরে দাঁড়াতে দলে আমূল সংস্কারের পথেই এগোলেন সোনিয়া, রাহুলরা।
Read story in English