সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে মাঠে নেমেছে কংগ্রেস। হরিয়ানার দশটি লোকসভা আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক এমন নেতাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে । ২৯ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩১৪ টিরও বেশি আবেদন ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে।
তবে এটা লক্ষনীয় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের কোনো বড় মুখকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় নি। তবে আবেদন করেননি এমন নেতাদেরও ময়দানে নামাতে পারে হাইকমান্ড, ইঙ্গিত তেমনই। গতবার দীপেন্দ্র হুডা রোহতক থেকে সাংসদ হলেও শেষবার বিজেপির অরবিন্দ শর্মার কাছে পরাজিত হন। একইভাবে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র হুডাকে সোনিপাত আসন থেকে বিজেপির রমেশ কৌশিকের কাছে হারের মুখে পড়তে হয়েছিল।
এবার কর্নাল থেকে ৪৮ জন, কুরুক্ষেত্র থেকে ৪৫ জন, সিরসা থেকে ৪০ জন, আম্বালা থেকে ৪০ জন, হিসার থেকে ৩৪ জন, গুরুগ্রাম থেকে ১০ জন, ফরিদাবাদ থেকে ৯ জন, ভিওয়ানি-মহেন্দ্রগড় থেকে ৬ জন লোকসভা নির্বাচনের জন্য আবেদন করেছেন।
ভিওয়ানি থেকে কিরণ চৌধুরীর মেয়ে শ্রুতি চৌধুরী, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অধ্যাপক ড. সম্পাত সিংয়ের ছেলে গৌরব সম্পাত সিং হিসার থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং কুলদীপ শর্মার ছেলে চানক্য শর্মা কর্নাল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী চৌধুরী মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের ছেলে বিজয় প্রতাপ সিং ফরিদাবাদে এবং প্রাক্তন মন্ত্রী জেপি হিসারে প্রার্থী হিসাবে আবেদন করেছেন।
হরিয়ানার সিনিয়র কংগ্রেস নেতাদের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত থাকার প্রশ্নে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা বলেছিলেন যে আমি বিশ্বাস করি যে সমস্ত সিনিয়রদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত। যারা আবেদন করবেন তারাই যে টিকিট পাবেন তা নয়।
হরিয়ানার এআইসিসি ইনচার্জ দীপক বাবরিয়া দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে কয়েকটি আসন ছাড়া, "অন্য সব আসনে দলীয় কর্মী ও নেতাদের মধ্যে প্রচুর উত্সাহ রয়েছে"। তিনি জানিয়েছেন, স্ক্রিনিং কমিটি ১৩ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসবে, এরপর হাইকমান্ডের কাছে সুপারিশ পাঠাবে। চূড়ান্ত বৈঠক এই মাসের ১৫ অথবা ১৬ তারিখে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। তারপরেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে,”।
প্রার্থী তালিকায় সিনিয়র নেতাদের অনুপস্থিত প্রসঙ্গে বাবরিয়া বলেন, "যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে থেকেই যে তিকিট দেওয়া হবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। হাইকমাণ্ড মনে করলে দলের সিনিয়ার নেতা যারা প্রার্থী হিসাবে আবেদন করেন নি তাদেরও টিকিট দেওয়া হতে পারে। দল শীঘ্রই চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করবে। "
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে কথা বলার সময়, দলের এক প্রবীণ নেতা বলেছেন, “ যারা লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিট চাইছেন তাদের সকলকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কংগ্রেস একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। প্রার্থী ঘোষণার আগে অন্যান্য বিষয়গুলোও মাথায় রাখা হয়। হাইকমান্ড যদি মনে করে দলের অন্য কোনো কর্মী বা নেতাকে নির্দিষ্ট আসনে মাঠে নামানো দরকার, তাও করা যেতে পারে"।
এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কুমারী সেলজা, যিনি উত্তরাখণ্ডের পার্টির ইনচার্জ, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “অতীতেও আমি কখনও টিকিটের জন্য আবেদন করিনি। কোথা থেকে কাকে প্রার্থী করা হবে তা দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত। তবে সত্যি বলতে, আমি এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই এবং ইতিমধ্যেই দলের কাছে তা জানিয়ে দিয়েছি।”
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “আমি কখনও টিকিটের জন্য আবেদন করিনি। দলই ঠিক করবে কে কোথা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে… এটা ভালো যে দলের কর্মীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আবেদন করছেন। হাইকমান্ড সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন স্ক্রিনিং করার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ”