Advertisment

ভোটের মুখে হিমাচলে বিদ্রোহে জেরবার বিজেপি, সামলাতে ব্যর্থ জয়রাম ঠাকুর-নাড্ডারা

প্রচার মাথায় উঠেছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে কথা বলতেই ভোটের মুখে জয়রাম ঠাকুরকে গোটা হিমাচলপ্রদেশ চক্কর কাটতে হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Joyram Thakur

ভাষণ দিচ্ছেন জয়রাম ঠাকুর

হিমাচলপ্রদেশ বিজেপিতে বিদ্রোহ বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছেন নির্বাচনের আগে তৈরি হওয়া এই বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা নিজে হিমাচল প্রদেশের লোক। তিনিও চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু, কোথায় কী! বিদ্রোহ থামার লক্ষণই নেই। আর, এটাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিমাচলপ্রদেশ বিজেপির কাছে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisment

এই বিদ্রোহের সূত্রপাত টিকিট বণ্টনকে ঘিরে। বর্তমান বিধায়কদের মধ্যে ১১ জনকে হিমাচলপ্রদেশ বিজেপি টিকিট দেয়নি। তার ওপর আরও অনেকে টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদেরও প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বহু বিজেপি নেতাই নির্দল হয়ে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আর, তাতেই ঘুম ছুটেছে বিজেপি নেতৃত্বের।

মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর সাধ্যমতো সব চেষ্টা করছেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তিনি সফল হননি। অনেক আলাপ-আলোচনার পরও কোনও বিদ্রোহী নেতাই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে রাজি হননি। জয়রাম ঠাকুর ১৯ অক্টোবর তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি মান্ডি জেলার সিরাজ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তারপর থেকে প্রচারের চেয়ে বেশি বিদ্রোহীদের সঙ্গ আলাপ-আলোচনা করতেই ঠাকুরকে হিমাচল প্রদেশের এক থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে।

গতকাল, অর্থাৎ বুধবারই যেমনটা ঘটল। জয়রাম ঠাকুর তাঁর নিজের জেলা মান্ডির কারসোগ বিধানসভা এলাকা আকস্মিক পরিদর্শন করলেন। নির্বাচনী প্রচারে এই ধরনের সফর আকছার ঘটে থাকে। কিন্তু, দেখা গেল যে জয়রাম ঠাকুরের সফরের উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওই আসনের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক যুবরাজ কাপুরের সঙ্গে সমঝোতা করতেই ঠাকুরের এই ঝটিকা কারসোগ সফর।

আরও পড়ুন- দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব পড়েছে? প্রায় দু’বছর ভারতে পূর্ণকালীন মার্কিন দূত নেই

যুবরাজ কাপুর কারসোগ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, দল তাঁকে টিকিয় দেয়নি। এর পরে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কাপুর শিবিরের মতে, যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, সেই দীপ রাজ একজন 'বহিরাগত'। অথচ, তাঁর জন্য কাপুরকে প্রার্থী করেনি দল। বৈঠকের পর জয়রাম ঠাকুর দাবি করেছেন, কোনও সমস্যা নেই। যাবতীয় বিবাদ মিটে গেছে।

যদিও ঠাকুরের এই দাবির সত্যতা নিয়ে বিজেপির অভ্যন্তরেই প্রশ্ন উঠেছে। ২৯ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সেই দিন আদৌ যুবরাজ কাপুর প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেন কি না, এখন সেদিকেই তাকিয়ে দল। তবে, কাপুর শিবির সূত্রে খবর, এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।

Read full story in English

Assembly Election 2022 bjp JP Nadda
Advertisment