Himachal crisis: ওঁরা কি দল ছাড়বেন? রাজ্যসভা নির্বাচনে ছয় কংগ্রেস বিধায়কের ক্রস-ভোটিংয়ের জেরে হিমাচল প্রদেশে তৈরি রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে এই প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই রাজনৈতিক অশান্তির কেন্দ্রে রয়েছেন মা-ছেলে প্রতিভা সিং ও বিক্রমাদিত্য সিং। দু'জনেই বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। হিমাচল প্রদেশের ছয় বারের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর স্ত্রী প্রতিভা সিং। ২০২২ সালে হিমাচল প্রদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। সেই সুখুর তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রতিভা। পাশাপাশি, প্রতিভার ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং দলের মধ্যে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ইস্যুতে সরব।
আরও পড়ুন- বেড়েছে সংখ্যা, কিন্তু ভারতে আদৌ সুরক্ষিত চিতাবাঘ?
শনিবারই চণ্ডীগড়ে ছয় বিদ্রোহী বিধায়কের সঙ্গে দেখা করার পর, বিক্রমাদিত্য সিং তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল আপডেট করেছেন। সেখান থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতীক এবং লেখা সরিয়ে দিয়েছেন। বদলে নিজেকে, 'হিমাচল কা সেবক (হিমাচলের সেবক)' বলে পরিচয় দিয়েছেন। এর আগে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (এইচপিসিসি) প্রধান হিসেবে কাজ করা প্রতিভা সিং বিজেপির প্রশংসা করেন। তিনি বলেছেন, 'বিজেপি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়।'
আরও পড়ুন- পরিবারবাদের অভিযোগে সরব বিরোধীরা, তবুও সুষমার কন্যাকেই টিকিট বিজেপির
গত ২৯ জানুয়ারি, রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে, বিক্রমাদিত্য হিমাচল প্রদেশ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, সুখু সিমলার মল রোডে তাঁর প্রয়াত পিতার মূর্তি স্থাপনের অনুমতি দেননি। ৩৪ বছরের বিক্রমাদিত্য, ২০১৭ সালে নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশের আগে হিমাচল রাজ্য যুব কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সুখুর মতপার্থক্য আছে। শুধু সুখুই নয়। কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গেও বিক্রমাদিত্য সিংয়ের মতপার্থক্য আছে। তিনি ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের মৌখিক নির্দেশকেও কার্যত অমান্য করেছেন। তারপরই 'পুত্র-ধর্ম'র উল্লেখ করে, নিজের বাবা বীরভদ্র সিংয়ের মূর্তি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পালনের কথা বিক্রমাদিত্য ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুন- শত্রুতার অবসান? দিল্লিতে পালিত হবে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস!
প্রতিভা সিং কেওন্থালের রাজপরিবারের সদস্য। তাঁর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর দুই বছর পর ১৯৮৫ সালে বীরভদ্র সিং বিয়ে করেছিলেন প্রতিভাকে। তিনি ২০০৪ সালে তাঁর স্বামীর জীবদ্দশাতেই রাজনীতিতে যোগ দেন। মান্ডি লোকসভা আসনে জয়ীও হন। হিমাচলপ্রদেশ কংগ্রেসে তাঁর ভালো প্রভাব আছে। বীরভদ্রের কারণে সেই প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি তহবিল তছরুপ মামলায় ২০১৮ সালে ইডি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে প্রতিভা, বীরভদ্র ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল।