টাকার বদলে প্রশ্ন ইস্যুতে বিপদ বাড়ছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। মহুয়া মৈত্রকে ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) কমিটির সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে এবং এই সময়ে তিনি তার ব্যাখ্যা কমিটির সামনে পেশ করতে পারবেন। সূত্রের খবর, শুধু তলব করা নয়, মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে রীতিমতো গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এথিক্স কমিটি। কমিটির প্রথম বৈঠকের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তদন্তের কাজ।
সূত্রের খবর, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে 'ক্যাশ ফর কোয়েরি' মামলায় টিএমসি সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। সূত্রের খবর, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে যে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন তাতে দামী উপহার বিনিময় থেকে শুরু করে বিদেশে বিলাসবহুল স্থানে ছুটি কাটানো সহ একাধিক প্রমাণ সংসদের এথিক্স কমিটির কাছে পেশ করা হয়েছে।
লোকসভা সূত্রের খবর, এথিক্স কমিটি মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। দুবাই থেকে লগ ইন হওয়ার অভিযোগ কতটা সত্যি সেটাও খোঁজ নিতে চায় এথিক্স কমিটি।পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রক থেকে এথিক্স কমিটি মহুয়ার সব বিদেশ সফরের তথ্য জানতে চায়। গত পাঁচ বছরে মহুয়া কতবার বিদেশে গিয়েছেন। বিদেশ যাওয়ার সময় সব নিয়ম মেনেছেন কিনা।
মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি দাবি করেছেন যে তিনি মহুয়া মৈত্রকে দামি উপহার দিয়েছেন এবং তার বিদেশ ভ্রমণের খরচ বহন করেছেন। তার হলফনামায় তিনি দাবি করেছেন যে তিনি আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে এমপির লগইন আইডি ব্যবহার করেছিলেন। বৃহস্পতিবার নিশিকান্ত দুবে এই বিষয়ে কমিটির সামনে হাজির হয়ে মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ পেশ করেন। কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকর বলেছেন যে নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইকে সমন পাঠানো হয়েছিল এবং দুজনেই এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হয়েছেন।
নিশিকান্ত দুবের বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদ ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগ আনেন। সেই প্রসঙ্গে দুবে বলেন, 'তৃণমূল সাংসদ তাঁর ডিগ্রি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি আদালত থেকে ক্লিনচিট পেয়েছেন এবং এটা ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রশ্ন নয়, সংসদের মর্যাদা ও মর্যাদার প্রশ্ন"। এখন ৩১ অক্টোবর তৃণমূল সাংসদকে এথিক্স কমিটির সামনে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে বিজেপি সাংসদ যে প্রমাণ পেশ করেছেন তার ভিত্তিতে মৈত্রর বিদেশ সফরের তদন্তের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি পাঠাবে লোকসভার এথিক্স কমিটি।
মহুয়ার বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই। বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করেছেন যে এখনও পর্যন্ত লোকসভায় তোলা মহুয়া মৈত্রের ৬১টি প্রশ্নের মধ্যে ৫০টি ‘ইআদানি গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে। যার বিনিময়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মহুয়া ২ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলেই দাবি করেন বিজেপি সাংসদ।