এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর থেকে মোদী-নীতীশের ঠান্ডা লড়াই বেড়েই চলেছে। বিজেপির সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিচ্ছেন সংযুক্ত জনতা দলের সুপ্রিমো। এবার বড়দিনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। প্রকাশ্যেই অটলের ভূয়সী প্রশংসা করে মোদীকে বার্তা দিলেন নীতীশ।
রবিবার রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠানে বাজপেয়ীর জন্মদিবসে নীতীশ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে বলেন, অটলের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক ছিল। একে অপরের প্রতি উষ্ণতা ছিল তাঁদের। বাজপেয়ীর মূর্তিতে মাল্যদানের পর নীতীশ বলেন, "অটলজির আমলে দেশের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। তিনটি মন্ত্রকের মন্ত্রিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলাম তাঁর আমলে। আমি যখনই তাঁর কাছে কোনও প্রস্তাব নিয়ে যেতাম, তিনি মেনে নিতেন। তিনি আমাকে শ্রদ্ধা করতেন, ভালবাসতেন। আমার প্রতি স্নেহশীল ছিলেন।"
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য সরকার অটলবিহারীর জন্মদিবস পালন করে আসছে। কিন্তু এবারের অনুষ্ঠানে রাজনীতির ছোঁয়া লেগেছে। বিশেষ করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে আদায়-কাঁচকলা সম্পর্কের জেরে তিক্ততা আরও বেড়েছে। তবে এটাই প্রথমবার মোদী সরকারের সঙ্গে অটল জমানার তুলনা করেননি নীতীশ। এমনকী গত অগস্টে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার পরও তিনি দুটি বিজেপি নিয়ে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলছে বিজেপি, লালকেল্লায় রাহুল-বাণে বিদ্ধ মোদী
এক শীর্ষ জনতা দল নেতা বলেছেন, "নীতীশ বরাবরই অটলজির প্রশংসা করেছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রকৃত রাষ্ট্রনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন নীতীশ। বর্তমানে মোদীর তুলনায় আরও বেশি করে অটলজিকে তুলে ধরতে চাইছেন।" এক প্রবীণ বিজেপি নেতার বক্তব্য, "২০০৫ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নীতীশকে সামনে আনা বা এনটিপিসি প্রকল্পের সিলমোহর দেওয়া, সবক্ষেত্রেই অটলজি নীতীশকে শ্রদ্ধার নজরে দেখেছেন।"
বিজেপির ওবিসি মোর্চার জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নিখিল আনন্দ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, "নীতীশ বর্তমানে যে জায়গায় পৌঁছেছেন তার পিছনে বিজেপির অবদান রয়েছে। কিন্তু তিনি দুবার বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছেন। দ্বিতীয়বার তো শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি।"