বিহার সরকারের শিক্ষক নিয়োগ নীতির প্রতিবাদে দলীয় বিক্ষোভে অংশ নিতে পুলিশের লাঠিচার্জের সময় প্রাণ হারালেন বিহার বিজেপির এক নেতা। ওই নেতা বিহারের জেহানাবাদের বাসিন্দা। বিজেপি অভিযোগ করেছে যে এই লাঠিচার্জে তাদের কয়েক ডজন নেতা ও কর্মী আহত হয়েছে। ঘটনার সময় বিজেপির ওই নেতা-কর্মীরা পুলিশি বাধা অতিক্রম করে বিধানসভার দিকে মিছিল করে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বিজেপি নেতা-কর্মীরা এই বিক্ষোভ করছিলেন বিহারের শিক্ষকদের দাবির সমর্থনে।
Advertisment
বিহারে স্কুলশিক্ষকরা অবিলম্বে শূন্যপদ পূরণের দাবিতে আন্দোলন করছেন। পাশাপাশি শিক্ষকদের দাবি, যে শিক্ষক যে এলাকার বাসিন্দা, তাঁকে সেই এলাকায় শিক্ষকতা করতে দিতে হবে। শিক্ষকদের এই সব দাবির সমর্থনে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি চাকরির জন্য জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগও তুলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, চাকরির জন্য জমি কেলেঙ্কারিতে জড়িত বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। চাকরির জন্য জমি কেলেঙ্কারি ইস্যুতে তেজস্বীর পদত্যাগও দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুশীলকুমার মোদী অভিযোগ করেছেন যে দলের জেহানাবাদ জেলার সাধারণ সম্পাদক বিজয়কুমার সিং (৫৫) পুলিশের লাঠিচার্জে প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিশের হাতে আটক থাকা অবস্থায় ওই বিজেপি নেতা মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ সুশীল কুমার মোদীর। একই অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইও। পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (পিএমসিএইচ) মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট আইএস ঠাকুরও ওই বিজেপি নেতার মৃত্যুর অভিযোগ নিশ্চিত করেছেন।
পাটনার সিনিয়র পুলিশ সুপার রাজীব মিশ্র অবশ্য দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'ওই বিজেপি নেতাকে (বিজয়কুমার সিং) ছাজ্জু বাগে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। যা ডাকবাংলো চক (বিক্ষোভ ও পুলিশের লাঠিচার্জ যেখানে হয়েছে) থেকে বেশ কিছুটা দূরে। তাঁর শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।' বিজয়কুমার সিং গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজেপি করছেন। তাঁর স্ত্রী প্রতিমা দেবী সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার স্বামীর কোনও বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না। পুলিশের বাড়াবাড়ির কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আমরা ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করছি।' এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে ৫০ জনেরও বেশি দলীয় কর্মীর সঙ্গে বিজয়কুমার সিং জেহানাবাদ থেকে পাটনা গিয়েছিলেন।