কিছু মানুষ ভারতের উপর 'কালো টিকা' লাগানোর চেষ্টা করেন। আসলে দেশের উপর যাতে কারোর নজর না লাগে তার জন্য এই টিকা তারা লাগান। কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্রকে এভাবেই খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাজ্য সভায় আজ বিদায়ী ভাষণে মোদী বলেন, 'গোটা বিশ্বকে যখন ভারত পথ দেখাচ্ছে তখন এখানে কিছু মানুষ কেবলই হতাশার কথা বলছেন। ভারতকে টেনে নিচে নামানোর চেষ্টা করছেন। আমরা সকলেই জানি কুদৃষ্টি এড়াতে 'কালো টিকা' দেওয়ার একটি প্রবনতা রয়েছে। আর ওই মানুষরা সেই কাজ করার দায়িত্ব নিজেরাই কাঁধে তুলে নিচ্ছেন'।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় সাংসদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী ভাষণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, 'যখনই সংসদে গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা হবে, মনমোহন সিংকে স্মরণ করা হবে'। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সাংসদদের জন্য মনমোহন সিং এক উদাহরণ হয়ে থাকবেন। মনমোহন সিং সংসদে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন'।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, 'আমি বিশেষ করে মনমোহন জিকে স্মরণ করতে চাই। তিনি দীর্ঘকাল সংসদ ও দেশকে পথ দেখিয়েছেন। মনমোহন সিং জি হুইল চেয়ারে এসেও সংসদে ভোটদান করে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। মনমোহন জি গণতন্ত্রকে শক্তি দিয়েছিলেন'। প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন আরও বলেছেন, 'মনমোহন সিং দেখিয়েছেন একজন সাংসদ তার দায়িত্বের জন্য কতটা দায়বদ্ধ। হুইল চেয়ারে বসে ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। তিনি কাকে ভোট দিয়েছেন সেটা বড় প্রশ্ন নয়। তিনি গণতন্ত্রের ভিতকে শক্ত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন'।
কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্রকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'খাড়গে জির ব্ল্যাক পেপার একটি 'কালো টিকার মতো'। কালো রঙের পোশাক পরে সংসদে বিরোধীরা ফ্যাশন শো করতে আসেন বলে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবাদের নামে কালো পোশাক পরে আজ সংসদে এসেছিলেন কিছু বিরোধী সাংসদ। এ ছাড়া আজ মোদী সরকারের শ্বেতপত্রের প্রতিবাদে কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। এ নিয়ে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে কালো টিকা লাগানো হয়। একইভাবে সরকার অনেক ভালো কাজ করছে এবং অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে কংগ্রেস তাতে 'কালো টিকা' দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেছিলেন যে 'দেশ গত ১০ বছর ধরে সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে। সৃষ্টি হয়েছে এক বিশাল ও ঐশ্বরিক পরিবেশ। তাতে যেন কুদৃষ্টিতে না লাগে সেজন্য আজ কংগ্রেস কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করে তাতে কালো টিকা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর জন্য মল্লিকার্জুন খার্গকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই'।
আরও পড়ুন : < Rahul Gandhi On Modi: জাত নিয়ে মিথ্যা বলছেন মোদী, মারাত্মক অভিযোগ রাহুলের >
উল্লেখ্য ১৫ রাজ্যের ৫৬ রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি। ৫৬ টি আসনের মধ্যে সর্বাধিক ১০টি আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এছাড়া মহারাষ্ট্র ও বিহারে ৬টি করে আসন রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৫টি করে আসন। ২৭ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক ও গুজরাটের ৪-৪টি রাজ্যসভার আসনেও ভোট হবে। এছাড়া তেলেঙ্গানা, রাজস্থান ও ওড়িশার প্রতিটি ৩টি আসনে ভোট হবে। এছাড়াও ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা ও হিমাচলের একটি করে আসনে ভোট হবে।