২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকে বিরাট জয় পেয়েছে কংগ্রেস। তাতে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে হাত শিবির। এবার বিরোধী ঐক্যের শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হতে চলেছে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। কংগ্রেসের তরফে সিদ্দারামাইয়ার শপথগ্রহণে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আমন্ত্রিত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও এবং বিহারের নীতীশ কুমার।
কর্ণাটকে ফল ঘোষণার পর বিজেপিকে হারানোর জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু টুইটে বা সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের নাম মুখে আনেননি। এমনকী সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলের পর মমতা চব্বিশে একলা লড়াইয়ের কথা বললেও, কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিজয়ের পর মমতার মুখে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবার্তা শোনা যায়। যেখানে যে শক্তিশালী সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে সেই দল লড়াই করবে বলে জোটের আহ্বান দিয়েছেন তিনি।
মমতার এই জোটবার্তার পর বাংলায় কংগ্রেসের নেতৃত্ব তৃণমূলের সমালোচনায় মুখর হয়। দেশে ৫৪৩টির মধ্যে ২০০টি আসনে কংগ্রেস লড়ুক, মমতার এই বার্তায় নাখুশ ছিলেন অধীর-প্রদীপরা। কিন্তু হাইকম্যান্ডের অবশ্য অন্য পরিকল্পনা রয়েছে। মমতাকে সিদ্দারামাইয়ার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে জোট সম্ভাবনা জিইয়ে রাখার বার্তা দিল কংগ্রেস, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন নাটকের অবসান! অবশেষে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা দলীয় হাইকামান্ডের
জানা গিয়েছে, সিদ্দারামাইয়ার শপথে হাজির থাকবেন সোনিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, রাজস্থানের অশোক গেহলট, হিমাচলের সুখবিন্দর সিং সুখু, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, সমাজাবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ন্যাশনাল কনাফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লা এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকরা।