শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ও মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে বিজেপি-শিবসেনার রফাসূত্র অধরা। এই পরিস্থিতে, সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ঘোষণা, তিনি কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছেন। সরকার গঠনে ঠাকরেদের ৫০-৫০ ফর্মুলার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার 'বিকল্প' সন্ধানের ইঙ্গিত খোদ সেনার সর্বময় কর্তার মুখে। দাবি আদায়ে যা বিজেপির উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে।
Advertisment
রাজ্যপালের সঙ্গে আদিত্য ঠাকরে।
গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলে মুখ্যমন্ত্রিত্বেের প্রশ্নে ছাড় দেওয়া হতে পারে। সুর নরম করে এমনই ইঙ্গিত মেলে শিবসেনা শিবির থেকে। বৃস্পতিবার উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে শিবসেনার বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই সেনা প্রধানের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ৫০-৫০ ফর্মুলা ছাড়া সরকার গঠন অসম্ভব। উদ্ধব ঠাকরের মন্তব্যর আগেই অবশ্য জল্পনা বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন শিবসেনা নেতা ও দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। তবে, এই সাক্ষাৎকারকে সৌজন্যের দাবি করে রাউত বলেন, ' দীপাবলির পরে শুভেচ্ছা জানাতেই পওয়ারের কাছে এসেছিলাম।'
ঘোলা জলে মাছ ধরায় খেলায় কংগ্রেসও। দলের নেতা পৃথ্বিরাজ চৌহান দাবি করেছেন, শিবসেনা শিবির থেকে কোনও প্রস্তাব এলেই তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে। সরকার গঠন নিয়ে বিজেপি-শিবসেনার দ্বৈরথের মাঝে যা 'বিকল্পের' জল্পনাকে উস্কে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতে পাল্টা চাপের কৌশল অবলম্বন করে বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, 'আমাদের স্পষ্ট কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিকল্প পথ থাকলে শিবসেনা তা প্রকাশ্যে জানাক।'
বুধবার বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেন, “বিজেপি এবং শিবসেনা মিলিতভাবে সরকার গঠন করবে। তবে ঠিক কোন পথে রফা হবে, সেই প্রক্রিয়া চলছে এখন। সবকিছুই খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে।” প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহে মুম্বই পৌঁছানোর কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করবেন বলেও খবর। ইতিমধ্যেই শিবসেনাকে উপ-মুখ্যমমন্ত্রীত্বের পদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর দেওয়ার কথা বলেছে পদ্ম শিবির।
বিজেপির প্রস্তাবে রাজি নয় শিবসেনা। ২৮৮ আসনের আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি ও শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন। বিজেপি একক ক্ষমতায় সরকার গড়তে পারবে না বুঝেই দর কষাকষি চরম জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে এনডিএ-র শরিক দলটি।