রাহুল গান্ধীর পর সর্ব ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসতে চলেছে কে, এই নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। রাহুলের বিকল্প খুঁজতে রীতিমত কালঘাম ছুটছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির। এই সপ্তাহেও সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আদৌ কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারবে কি না সিডব্লিউসি তা নিয়ে সংশয় ছিল কংগ্রেসের মধ্যেই। তবে সব অনিশ্চয়তার মধ্যেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী খুব শিগগির বসতে চলেছেন কংগ্রেস সভাপতির পদে।
না, প্রকাশ্যে প্রিয়াঙ্কার নাম ঘোষণা হয়নি। কারণ লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাহুল যখন সিডব্লিউসি-র বৈঠকে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন, তখনই জানান কংগ্রেস যেন এই পদের জন্য গান্ধী পরিবারের বাইরে কারোর কথা ভাবেন।
" width="640" height="360" allowfullscreen="allowfullscreen" data-mce-fragment="1">
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়াল বললেন, "এখন অনেকেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কথা ভাবছেন। আমার নিজেরও ব্যক্তিগত মত তাই-ই। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পরিবারের। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার বহুমুখী ক্ষমতা প্রিয়াঙ্কার আছে।
কংগ্রেসের তিনবারের সাংসদ ভক্ত চরণ দাসের কথায়, "কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের নেতা থেকে উচ্চপদস্থ নেতা, সবাই রাহুলের অনুপস্থিতিতে প্রিয়াঙ্কাকেই চাইছেন। সত্যি বলতে কি, সবাই সেরকম দাবিই করছেন, শুধু ওনাদের দাবি সঠিক জায়গায় পৌঁছচ্ছে না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি রাহুল গান্ধী নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে দলের উচিত প্রিয়াঙ্কার নাম প্রস্তাব করা"।
পঞ্জাবের কংগ্রেস মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ সিধুর, ডাক পেলেন আম আদমি পার্টির
তবে দলের বেশ কিছু অভিজ্ঞ নেতার ধারণা দলে রাহুলের মতো গ্রহণযোগ্যতা প্রিয়াঙ্কার নেই"। রাহুলের ইস্তফার পর যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে বাকি নেতারা রাহুলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন পদত্যাগের জন্য এত তাড়াহুড়ো না করতে। প্রিয়াঙ্কা সেই বৈঠকেই বলেন, কংগ্রেসকে যারা খুন করেছেন, সেসব নেতারা এখন ঘরে বসে রয়েছেন। এই মন্তব্যের দরুন প্রিয়াঙ্কার জনপ্রিয়তা বেশ খানিকটা কমে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই 'প্রিয়াঙ্কা লাও, কংগ্রেস বাঁচাও স্লোগান কিন্তু ওঠেনি।
তবে প্রিয়াঙ্কার নাম প্রকাশ্যে আনা হল না কেন, এই প্রশ্নের উত্তরে জয়সওয়াল বলেন, "নাম প্রকাশ্যে আনা হবে। রাহুলের বিকল্প হিসেবে প্রিয়াঙ্কা ভালো প্রস্তাব। তবে রাহুল যেহেতু গান্ধী পরিবারের বাইরে কারোর কথা ভাবতে বলেছিলেন, অনেকেই প্রিয়াঙ্কার নাম প্রকাশ্যে বলতে ইতস্তত করছেন।
তবে দলের সভাপতি নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হয়, দলের পক্ষে মঙ্গল, এমনটা মনে করছেন অনেক নেতাই। এ প্রসঙ্গে চরণ দাস বললেন, "অনেক দেরি হয়ে গেছে। এবার সবাই মিলে সিদ্ধান্তে আসা উচিত। সভাপতির পদে এমন কাউকে নির্বাচন করা উচিত, যে দলের সবার কাছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে সমান ভাবে গ্রহণযোগ্য। তবে খুব বয়স্ক কাউকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচন না করাই ভাল। আর কংগ্রেস সভাপতি যেন রাহুল গান্ধীর মতোই পরিশ্রমী হন"।
Read the full story in English