৩৭ বছরের দীর্ঘ রেওয়াজে ছেদ পড়েনি হিমাচল প্রদেশে। রেওয়াজ মেনেই, পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলায় পাহাড়ি রাজ্যে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। হিমাচলে বিজেপির মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে কংগ্রেস। তবে বিজেপির জন্য আরও অস্বস্তি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের নিজের জেলা হামিরপুরে পাঁচটি কেন্দ্রেই হেরেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গড়ে যদি এই হাল হয় তাহলে চাপ তো বাড়বেই গেরুয়া শিবিরের।
অনুরাগের বাবা, হিমাচলের দুবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমালকে এবার টিকিট দেয়নি বিজেপি। আর তাতেই চটেন তাঁর অনুরাগীরা। ২০১৭ সালের নির্বাচনে হামিরপুরের সুজানপুর কেন্দ্রে হেরে যান প্রেমকুমার। সেবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন। তাতেও এবার দমেননি তিনি। দলের হয়ে হামিরপুরে জোরদার প্রচার করেন। ৭৮ বছরের রাজনীতিবিদ তিনবারের সাংসদ, কিন্তু টিকিট না পেয়েও দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ইস্তেহারে পুরনো পেনশন স্কিম ফেরানোর কথা ঘোষণা করতে পারত দল। অন্তত চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের জন্য।
এই একই ঘোষণায় কংগ্রেস বাজিমাত করেছে হিমাচলে। অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের একাধিক জনমুখী প্রকল্পের প্রশংসা করে প্রচার করলেও হামিরপুরের বরফ গলেনি। হামিরপুরের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সুজানপুরে কংগ্রেসের বিধায়ক রাজিন্দর সিং ৩৯৯ ভোটে জিতেছেন। ধুমালের নিজের গ্রাম সামিরপুরে পড়ে। তাতেও কংগ্রেস জিতেছে।
আরও পড়ুন রাজনীতিতে ছক্কা মেরে অভিষেক জাদেজার বউয়ের! বিজেপির টিকিটে ভোটে নেমেই বাজিমাত
ধুমাল বিদ্রোহীদের উদ্দেশে একটি সাক্ষাৎকারে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, "একটা ভোটও যদি অন্য দলে যায় তাহলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। যদি কেউ বিদ্রোহ করে তাহলে তাতে দলের ক্ষতি হবে। কিন্তু যখন দলের ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ রয়েছে, সেখানে সবাই টিকিট চাইলে খেলা নষ্ট হবেই।" বাস্তবেও তাই হয়েছে। একাধিক বিদ্রোহীতে বিজেপির পদ্মবন তছনছ হয়েছে হিমাচলে। আর তার প্রভাব এবার অনুরাগের মন্ত্রিত্বেও পড়তে পারে।