বাংলায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয় না! গত ১০ বছরের উদাহরণ তুলে ধরে সরব গেরুয়া শিবির। একই সঙ্গে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গ বিধায়সভায় দ্রুত মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ শুনানির নিষ্পত্তির দাবিতে আগামী সপ্তাহেই হাইকোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। যা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর বাবা তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী এখন কোন দলে তাও নন্দীগ্রামের বিধায়কের কাছে জানতে চেয়েছেন কুণাল।
এদিনই বিধানসভায় ছিল মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলার শুনানি। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আসেননি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। দলত্যাগ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাবদিহিতে এক মাস সময় চেয়েছেন মুকুল রায়। স্পিকার জানিয়েছেন এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন- দলত্যাগ শুনানি: বিধানসভায় এলেন না মুকুল, হাইকোর্টে যাচ্ছেন শুভেন্দু
মুখে না বললেও অতীতে উদাহরণ টেনে নানা অছিলায় শুনানির নামে সময় নষ্ট করা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত করেছেন বিরোধী দলনেতা। তারপরই বলেছেন, "খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের কথা সংবিধানের দশম তফশিলে বলা আছে। কিন্তু, বর্তমান অধ্যক্ষের আমলে গত ১০ বছরে দলত্যাগ বিরোধী আইন বিধানসভায় কার্যকর করা হয়নি। গাজোলের বিধায়কের ২৩ বার শুনানি হওয়ার পরেও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। সেই অভিজ্ঞতা ও তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি দ্রুতই কলকাতা হাই কোর্টে যাব।"
এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। টুইটারে তিনি লেখেন, "ওওওওও শুভেন্দু, দলত্যাগবিরোধী আইন নিয়ে এত কথা কাকে শেখাচ্ছো? তোমার বাবা এখন কোন দলে? অন্যকে নিয়ে বলার হলে আগে প্রকাশ্যে বলো তোমার বাবা শিশির অধিকারী এখন কোন দলে? দলবদলু পরিবারের আবার বড় বড় কথা!"
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের সময়ই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। সম্পর্কে যিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা। শিশিরবাবুর সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রসঙ্গে জবাবদিহি চেয়ে বর্ষীয়ান সাংসদকে চিঠি দেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। কিন্তু, ওই জবাবদিহিতে অসুস্থতার জেরে এক মাস সময় চেয়েছেন তিনি।
এদিনও সাংবাদিকরা শুভেন্দু অধিকারীকে শিশিরবাবুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর এড়িয়ে যান বিরোধী দলনেতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন