Arvind Kejriwal:কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিষয়ে বার্লিনের মন্তব্য, জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব 'ক্ষুদ্ধ ভারতের'
বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা এই ধরনের মন্তব্যকে আমাদের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং আমাদের বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করার প্রয়াস বলেই মনে করছি”।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে ভারত ও জার্মানির মধ্যে বিরোধ বেড়েছে। জার্মান বিদেশমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷ এটাই প্রথম নয় যখন জার্মানি ভারতের 'অভ্যন্তরীণ' বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে।
Advertisment
কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিষয়ে, জার্মানির বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র শুক্রবার বলেছেন যে "জার্মানি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা জানি ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ । যেখানে ন্যায় বিচারের অধিকার সকলের রয়েছে। কেজরিওয়ালও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত পাওয়ার অধিকার রাখেন"। যা নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে জার্মানির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্যের পর ভারত জার্মানির ডেপুটি অ্যাম্বাসেডরকে তলব করে সমন পাঠিয়েছে। জার্মান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিষয়টি তারা মূল্যায়ন করেছে। কারণ এই গ্রেফতার লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ঘটেছে এবং বিরোধীরা এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন।
জার্মান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেছেন, "আমরা বিষয়টি মূল্যায়ন করছি। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা বিশ্বাস করি এবং আশা করি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতির সাথে সম্পর্কিত মানদণ্ড এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। " সেবাস্তিয়ান ফিশার বলেন, কেজরিওয়াল "একটি ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকারী"।
আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো কেজরিওয়ালকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দিল্লির আফগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে গতকাল আদালতে শুনানি চলাকালীন তাকেই দিল্লির কথিত দিল্লি মদ নীতি কেলেঙ্কারির "কিংপিন" হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।