লাদাখে আবারও চিনা গতিবিধি বাড়তে থাকায় ফের একবার রাহুল গান্ধীর নিশানায় কেন্দ্র। জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে কোনও আপোস কাম্য নয় বলে ফের একবার কেন্দ্রকে সতর্কবার্তা রাহুলের। দেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই মুখ্য ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসার বার্তা রাহুলের।
উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সো হ্রদে দ্বিতীয় একটি সেতু তৈরি করছে চিন। সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগেলা পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও পড়শি দেশকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের সব ধরনের পরিস্থিতির দিকেই কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলেও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
যদিও বিরোধীরা কিন্তু লাদাখ সীমান্তে লাগাতার চিনা আগ্রাসন নিয়ে কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় তুলছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এব্যাপারে ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। লাদাখে লালফৌজ লাগাতার বেনিয়ম চালিয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় সরকার মুখ বুজে রয়েছে বলে দাবি কংগ্রেস নেতার। দু'বছরেরও বেশি সময় ধরে পূর্ব লাদাখের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভারত এবং চিন সেনার মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতার মধ্যেই সেতুটি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে টুইটে মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারকে বিঁধে রাহুল গান্ধী টুইটে লিখেছেন, ''চিন প্যাংগং-এ প্রথম সেতু তৈরি করেছে। কেন্দ্র বলছে, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। চিন প্যাংগং-এ দ্বিতীয় সেতু তৈরি করছে। এখনও কেন্দ্র বলছে, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।" এরপরেই কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধীর টুইট, ''ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে কোনও আপোস চলবে না। ভীরু এবং বিনয়ী প্রতিক্রিয়া নয়। প্রধানমন্ত্রীকেই দেশকে রক্ষা করতে হবে।''
আরও পড়ুন- জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গনে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, কলস-ফুল-ত্রিশূলের সন্ধান: সমীক্ষা রিপোর্ট
লাদাখের প্যাংগং সো অঞ্চলে আবারও চিনা সেনার তৎপরতা বাড়তে থাকায় সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। লালফৌজের এই তৎপরতাকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারতও। ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ভারত সতর্ক আছে। সীমান্তে নজরদারি বহাল আছে।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''আমরা ওই সেতু নিয়ে মিডিয়া রিপোর্ট এবং অন্যান্য রিপোর্ট দেখেছি। কেউ কেউ বলছেন দ্বিতীয় সেতু। আবার কেউ বলছেন সেতুটাকে বাড়ানো হচ্ছে। ভারত নজর রাখছে।'' এরই পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, চিনের সঙ্গে ভারত এব্যাপারে বিভিন্ন স্তরে কথা বলছে। সামরিকস্তরে কথার পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও কথাবার্তা শুরু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Read story in English