/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/bjp-759-new.jpg)
সিএএ বিরোধিতায় দল ছাড়লেন বিজেপি নেতা।
সিএএ ইস্যুতে আবারও ঘরের লোকের বিরোধিতার মুখে পড়ল বিজেপি। নয়া আইনের বিরোধিতায় দল ছাড়লেন বিজেপি কাউন্সিলর। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে একটা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে, এই অভিযোগেই বিজেপি ছাড়লেন ইন্দোরের নেতা উস্মান প্যাটেল। দল ছেড়েই গেরুয়াবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে উস্মান বলেছেন, ঘৃণার রাজনীতি করছে বিজেপি। উস্মানের এহেন পদক্ষেপে গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: বুথ ফেরত সমীক্ষা: দ্বিতীয়বারের জন্য আপের দখলে দিল্লি
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ওই কাউন্সিলর বলেন, দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে খানিকটা সময় নিয়েছেন। কারণ আইন সম্পর্কে ভাল করে জেনেছেন আগে, তারপরই দল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এই আইন মুসলিমদের বিরুদ্ধে বলে দাবি করেছেন ওই নেতা। দল ছাড়ার সময় উস্মান জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রেরণাতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে সিএএ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি ছেড়েছেন মধ্যপ্রদেশের ৮০ জন মুসলমান নেতা। এই আইনকে ‘বিভেদের হাতিয়ার’ বলে দাবি করেছেন বিজেপি ত্যাগী সংখ্যালঘু নেতারা।
আরও পড়ুন: ‘সিএএ মানব না, গোটা দেশ শাহিনবাগ হবে’, মোদী-শাহকে হুঁশিয়ারি প্রাক্তন সাংসদের
MP: Indore BJP councillor resigns over CAA, accuses party of practising politics of hatred
Read | https://t.co/D69eshoVvqpic.twitter.com/lxBMxTrgrH
— The Indian Express (@IndianExpress) February 8, 2020
প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। সিএএ বিরোধিতায় দিল্লির শাহিনবাগের পাশাপাশি অন্যত্রও লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। এদিকে, সিএএ যে প্রত্যাহার করা হবে না, সে কথা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন মোদী-শাহরা। কিছুদিন আগে বিরোধীদের নিশানা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘যতই বিরোধিতা করুন, সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না’’। এই প্রেক্ষিতে যেভাবে দলের অন্দরের একাংশেই সিএএ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে, তাতে এ ইস্যুতে পদ্মবাহিনীর অস্বস্তি বাড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন