Advertisment

'দেশবিরোধী শক্তি'-র সহযোগী ইনফোসিস, মারাত্মক অভিযোগ RSS ঘনিষ্ঠ পত্রিকার

কেন হঠাই দেশের বৃহৎ এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার বিরুদ্ধে পাঞ্চজন্য-র এই অভিযোগ?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Infosys with anti-national forces RSS linked journal Panchjanya

নিশানায় ইনফোসিস।

'দেশবিরোধীশক্তি' ও 'টুকরে টুকরে গ্যাং'-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ইনফোসিস। ভারতীয় অর্থনীতিকে বেসামাল করতেও চেষ্টা চালাচ্ছে এই প্রখ্যাত তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা। এই লক্ষ্যেই ইনফোসিস নকশাল, বাম ও টুকরে টুরকে গ্যাং-কে সহায়তা করছে। মারাত্মক এই অভিযোগ তোলা হয়েছে আরএসএস ঘনিষ্ঠ পত্রিকা পাঞ্চজন্য-র বিশেষ প্রতিবেদনে।

Advertisment

করের ই-ফাইলিং প্রথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। নাজেহাল আম আদমি। ই-ফাইলিং এই পোর্টালটি তৈরি ও দেখভালের দায়িত্বে ইনফোসিস। সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই হস্তক্ষেপ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ই-ফাইলিং প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত করতে ওই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। বিদেশি ক্রেতাদেরও জন্যেও কী ইনফোসিস এই ধরণের জঘন্য পরিষেবা প্রদান করে থাকে? প্রশ্ন তোলা হয়েছে পাঞ্চজন্য-র ওই প্রতিবেদনে।

ভারতীয় অর্থনীতিকে পোক্ত করতে মোদী সরকার যখন অর্থনীতিতে সংস্কারের ডাক দিয়েছে, নগদীকরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছে, তখন ইনফোসিসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী।

অভিযোগ সম্পর্কে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে মুখ খুলেছেন পাঞ্চজন্য-র সম্পাদক হিতেশ শঙ্কর। তাঁর কথায়, "যে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তার কাজের মান খ্যাতির সমগোত্রীয় নয়। এই ধরণের সমস্যা শুধু ওই সংস্থার সুনামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং কোটি কোটি দেশবাসীকে অসুবিধায় ফেলেছে। যা থেকে সমাজে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। যদি এর পিছনে কোনও অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে তবে আসল সমস্যার কথা জানাক ইনফোসিস। আমরা কেবল মানুষের বিরক্তির কথা তুলে ধরেছি। ওই প্রখ্যাত তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাকেই জানাতে হবে যে, তারা কী সফটওয়্যার কোম্পানি, নাকি সমাজের অসন্তোষ বৃদ্ধির হাতিয়ার।"

'খ্যাতি ও ক্ষতি' শীর্ষক পাঞ্চজন্যের প্রতিবেদনে উল্লেখ, এই প্রথম নয়। জিএসটি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ও কর্পোরেট মন্ত্রকের কাজেও ইনফোসিসের কাজে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। ''এই ধরণের বিষয় যখন বহারে বারে সামনে আসে তখন সন্দেহ দানা বাধে। অভিযোগ উঠেছে যে, ইনফোসিস কর্তৃপক্ষ ভারতীয় অর্থনীতিকে ধাক্কা দিতেই এই কাজ করছে। হতেই পারে যে, ভারত বিরোধী কিছু শক্তি দেশের অর্থনীতির ক্ষতি সাধনা করছে ইনফোসিসের মাধ্যমে?''

তবে, এই অভিযোগ সম্পর্কে যুৎসই কোনও প্রমাণ পাঞ্চজন্য-র হাতে নেই বলেও সাফ জানিয়েছেন সম্পাদক হিতেশ শঙ্কর। যদিও ইনফোসিসের 'ইতিহাস ও পরিস্থিতি'-র বিচারে এই অভিযোগ উঠতেই পারে বলে দাবি তাঁর।

হিতেশ শঙ্করের সংযোজন, "নকশাল, বাম ও টুকরে টুরকে গ্যাংকে সাহায্যের অভিযোগ রয়েছে ইনফোসিসের বিরুদ্ধে। এই সংস্থা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে দেশ বিভাজনকামী শক্তিকে সহায়তা করছে বলেও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। বিশ্বাস করা হয় যে ভুয়ো তথ্য নির্ভরল একাধিক ওয়েবসাইকে ইনফোসিস দ্বারা পুষ্ট। কিছু সংগঠন যারা জাতি বিদ্বেষ ছড়ায় তারাও ইনফোসিসের অনুদান পুষ্ট বলে খবর। এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্তাদের প্রশ্ন, দেশ বিরোধী শক্তি, নৈরাজ্যবাদীদের অর্থ সহায়তার কারণ কী? এই ধরণের সন্দেহভাজন একটি সংস্থাকে সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া কী উছিত?"

পাঞ্চজন্য-র প্রতিবেদনে অভিযোগ, "ইনফোসিসের এক প্রবর্তক নন্দন নিলেকানি কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এনআর নারায়ণমূর্তি নীতিগত প্রশ্নে সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন। সংস্থার উচ্চপদেও বিশেষ আদর্শের প্রতি কেউ অনুরক্ত হলে তাঁকে বহাল করা হয়না। এই ধরণের সংস্থাকে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া উচিত? এক্ষেত্রে কী চিন ও আইএসআই-য়ের হুমকি থাকবে না?"

ইমফোসিসের এইসব কাজের পিছনে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিরও মদত থাকতে পারে বলে আরএসএস মুখপত্র পাঞ্চজন্য-য় সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারতের সূচনা করেছেন। সেই সময়ই দেশিও সংস্থার বদলে অন্যকোনও পদক্ষেপ করলে কেন্দ্রের নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠানো যাবে। তাই হয়তো বিরোধী শক্তি এই ধরণের কাজে ইচ্ছাকৃত মদত যোগাচ্ছে বলে পাঞ্চজন্য-র প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

Read in English

ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment