এনসিপির পর রাষ্ট্রীয় লোক দল। ফের, বিরোধী শিবির ছেড়ে কোনও রাজনৈতিক দল বিজেপির নেতৃত্বে থাকা শাসক শিবিরে যোগ দিতে চলেছে। এই জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) নেতৃত্বে আছেন জয়ন্ত চৌধুরী। সূত্রের খবর, আরএলডি প্রধান রবিবারই বিজেপির একজন প্রবীণ নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুই ঘণ্টা ধরে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয়ই ছিল আরএলডির এনডিএতে যোগদানের সম্ভাবনা।
সম্ভবত, তারই ভিত্তিতে রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরপ্রদেশে ছিলেন। সেই সময় তিনি সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের বলেছিলেন যে জয়ন্ত চৌধুরির লোকদল আগামী দিনে এনডিএতে যোগ দেবে। আঠাওয়ালে বলেন, 'জয়ন্ত চৌধুরিজি পাটনার (বিরোধী দলগুলির) সভায় যাননি। তিনি অখিলেশ যাদবের প্রতি অসন্তুষ্ট। আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।'
জয়ন্ত চৌধুরী যদি পক্ষ পরিবর্তন করেন, তবে রবিবার এনসিপি বিভক্ত হওয়ার পরে বিরোধী ঐক্যের জন্য এটি দ্বিতীয় ধাক্কা হবে। ইতিমধ্যেই এনসিপির শীর্ষ নেতারা মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিণ্ডে সেনা সরকারে যোগ দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে অবশ্য রাষ্ট্রীয় লোকদল জয়ন্ত চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আঠাওয়ালের মধ্যে বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছে। আরএলডি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কুলদীপ উজ্জ্বল সোমবার বলেছেন, 'এসব কথা সত্যি না। জয়ন্তজির সঙ্গে বিজেপির কোনও বৈঠক হয়নি। তিনি মতাদর্শের জন্য লড়াই করেন।'
আরও পড়ুন- টালবাহানার ইতি, বাংলায় আসছে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বাড়ল স্পর্শকাতর বুথ
রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) প্রধান জয়ন্ত চৌধুরি এবং সমাজবাদী পার্টির (সপা) সভাপতি অখিলেশ যাদবের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভেদ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছে। আরএলডি এবং এসপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে জোটবদ্ধ হয়েছে। গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করেছে। দুই তরুণ নেতা নিজেদের বন্ধুত্বের ছবি তুলে ধরেছেন। নির্বাচনের ফলাফল এই দুই দলের অংশীদারিত্বের সাফল্যকে আরও জোরদার করেছে। কারণ, তাদের জোট পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তাদের রাজনৈতিক জমি ফিরে পেয়েছে। কিন্তু, সেসব সুদিন শেষে এখন দুই নেতার মধ্যে বিবাদই বিভিন্ন মহলে সবচেয়ে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।