নীতীশ কুমারকে সামনে রেখেই কি ২০২৪ সালের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বিরোধীরা? ২৪-এ লোকসভা ভোট হতে পারে এপ্রিল-মে নাগাদ। দু'বছর হাতে নেই। এই পরিস্থিতিতে তিনি যেভাবে মহারাষ্ট্রের বদলা বিহারে নিলেন, নীতীশকে জোটের মুখ করার সম্ভাবনা কেউ উড়িয়ে দিচ্ছেন না। উড়িয়ে দেওয়া তো দূর। বরং, এই সম্ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিরোধীদের অনেকের মতে, বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে নীতীশ কুমারের সিদ্ধান্ত আসলে একটি অভ্যুত্থান। এটা হল শাসক দলকে তারই কায়দায় জবাব দেওয়া। যেটা এই শাসক দল অবিজেপি সরকারের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অবিজেপি রাজ্যগুলোয় করে থাকে। কিন্তু কুমার কি কেবল তার দল জনতা দল (ইউনাইটেড)-কে ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন, নাকি তাঁর পদত্যাগের আরও অন্য কারণ আছে?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা কিন্তু মনে করছেন, নীতীশ কুমারের এই পদক্ষেপ শুধু তাঁর দলের ভেঙে যাওয়াই রুখল না। বরং, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের মুখ হওয়ার রাস্তাও নীতীশ কুমারের জন্য খুলে দিল। বিহারের রাজনৈতিক নেতাদের দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে নতুন আরজেডি-জেডি (ইউ)-কংগ্রেস-বাম জোট বিজেপির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ফ্রন্ট হতে চলেছে। যা যথেষ্ট বেগ দিতে পারে গোবলয়ের এই রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের জয়ের সম্ভাবনাকে।
আরও পড়ুন- প্রিয়াঙ্কা করোনায় আক্রান্ত, প্রদেশ সভাপতিহীন, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ‘গৌরব যাত্রা’য় উধাও জৌলুস
বিজেপি অবশ্য অন্য কথাই ভাবছে। তারা মনে করছে, গেরুয়া শিবির মনে করছে নীতীশ কুমার বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ায় তাঁদের সুবিধাই হল। প্রবীণ সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব নীতীশ কুমারের সুশাসন দেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন, অ-দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা হিসেবে বিহারের রাজনীতিতে পরিচিতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত লালুপ্রসাদের দলের সঙ্গে তিনি যোগ দেওয়ায় নীতীশ কুমারের পোশাকেও কাদা ছিটল। শুধু তাই নয়, বিরোধীরা একজোট হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে প্রশাসনের কাজে ক্ষুব্ধ বিহারের জনগণ বিরোধী হিসেবে বিজেপিকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেবে। এমনটাই আশায় রয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
Read full story in English