উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট গ্রামে গুলিতে নিহত রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের পরিবার দিল্লি গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁরা ছেলেদের খুনিদের বিচার চাইবেন। এদিন দিল্লি যান নিহত তাপসের বাবা বাদল বর্মণ ও রাজেশের বাবা নীলকমল সরকার। একইসঙ্গে তাঁরা বিচারের জন্য রবিবার পৃথকভাবে দ্বারস্থ হয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের। কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে পুরো ঘটনা তাঁরা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। খুনের প্রকৃত বিচার চেয়েছেন। সূত্রের খবর, কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে ৩ অক্টোবর। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা এস এস আহলুওয়ালিয়া, মুকুল রায় প্রমুখ।
ইতিমধ্যে দাড়িভিট স্কুলে গুলি কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। তদন্তের আগেই প্রশাসন ও রাজ্য সরকার ঘোষণা করে দিয়েছে, পুলিশের গুলিতে মারা যাননি তাপস ও রাজেশ। এমনকী প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পরও কোন বোরের গুলি তাও এখনও বলেনি পুলিশ। নিহত দুই যুবকের পরিবার সরকারি ঘোষণা মানতে নারাজ। রাজ্য পুলিশের গুলিতেই মারা গেছেন তাপস ও রাজেশ, এই দাবি করে তাঁদের বক্তব্য, সিআইডি রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। তাই সিআইডির ওপর তাঁদের কোনও ভরসা নেই। তাঁরা প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছেন। এখনও সেই দাবিতেই অনড় রয়েছেন। তাই দুটি মৃতদেহই কবর দিয়ে রাখা রয়েছে। পালা করে কবর পাহারাও দেওয়া হচ্ছে। পরিবার ও গ্রামবাসীদের আশা, দেহ দুটির ফরেন্সিক পরীক্ষা হলেই সত্য উদ্ঘাটন করা সহজ হবে।
আরও পড়ুন: আগে সিবিআই তদন্ত, পরে স্কুল, বলছে দাড়িভিট
উত্তর দিনাজপুর বিজেপির সাধারন সম্পাদক সুরজিত সেন দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, "আমার সঙ্গে এসেছেন দুই পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা আগামীকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। রবিবার তাঁরা দেখা করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে। পাশাপাশি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা।" বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও জানিয়েছেন, দুই পরিবার দিল্লি গিয়েছেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে।
দাড়িভিটের ঘটনায় মৃত দুজনকে এবিভিপি তাদের কর্মী বলে দাবি করে এসেছে। বিজেপিও ওই ঘটনায় টানা আন্দোলন করছে। দুই পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা দিল্লিতে দরবার করবেন সিবিআই তদন্তের জন্য। একইসঙ্গে বিজেপি কেন্দ্রীয় স্তরে তুলে ধরতে চাইছে যে "পশ্চিমবঙ্গে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার চলছে। তারই পরিণাম, দুই যুবকের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু।"