তামিলনাড়ুতে ভোটের মুখে প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিনের জামাইয়ের একাধিক বাড়ি-অফিসে আয়কর হানা। সাবারিসানের বাড়ি-অফিসে আয়কর হানার জেরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তামিলনাড়ুতে। বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ স্ট্যালিন শিবির। একইসঙ্গে ডিএমকে-র প্রার্থী এম কে মোহনের ছেলে কার্তিক মোহনও আয়কর দফতরের নজরে রয়েছেন বলে খবর।
এই ঘটনায় ডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক দুরাইমুরুগান ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আর কয়েক দিন বাকি বিধানসভা নির্বাচনের। তার আগে সুপ্রিমোর মেয়ের বাড়িতে আয়কর হানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভেল্লোরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, "এসব করে আমাদের ভয় দেখানো যাবে না। যদি দল এসবে ভয় পেত তাহলে অনেক দিন আগেই পার্টি শেষ হয়ে যেত। তবে এসব করে বিজেপি নিজেদের রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়াপনা আরও প্রকাশ্যে এনে ফেলেছে। আর আমরা আরও সংকল্পবদ্ধ হচ্ছি। এটা গণতন্ত্র নয়, কেন্দ্রের এই কাজের তীব্র নিন্দা করছি।"
এই আয়কর হানার তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। টুইট করে লিখেছেন, "ভোটে হারার ভয়ে বিরোধীদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা, বিজেপির এই ষড়যন্ত্র বহু পুরনো।" ডিএমকে-র অন্য শরিকরাও এই আয়কর হানার তীব্র নিন্দা করেছে। ভিসিকে-র নেতা তথা সাংসদ থোল তিরুমাভালভান বলেছেন, "এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। বিজেপি জোটের ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে এই আয়কর হানা। মানুষ এসব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছে। আসন্ন ভোটে বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেবেন তাঁরা।"
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধি সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলির মৃত্যুর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দায়ী করার পরই এদিন তাঁর ভগ্নিপতির বাড়িতে আয়কর দফতরের হানা হল। উদয়নিধি বলেছিলেন, "গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কীভাবে সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলিদের বাইপাস করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মোদী, সেটা সবার জানা। মোদীর জন্যই তাঁদের মরতে হল। আমি পালানিস্বামী বা পন্নিরসেলভমের মতো মোদীকে ভয় পাই না। আমি উদয়নিধি, কলাইনরের নাতি। আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।"