বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফের সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। শনিবারই মুর্শিদাবাদ ও এর্নাকুলামে তল্লাশি চালিয়ে ৯ আল-কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এর প্রেক্ষিতেই পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্রের পরিবেশ নিয়ে টুইটে মমতা সরকারকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল।
এদিন টুইটেরাজ্যপাল লিখেছেন, 'বেআইনি বোমা তৈরির কারখানা হয়ে উঠেছে রাজ্য। এতে গণতন্ত্র বিপন্ন হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আটকাতে ব্যস্ত। পুলিশ–প্রশাসনে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না।'
আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে বিঁধে এদিন ধনকড় টুইটে লিখেছেন, 'রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির থেকে অনেক দূরে রয়েছেন ডিজিপি। যা খুবই উদ্বেগের। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ যা কাজ করছে তা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু, তারাই যখন রাজনৈতিকভাবে পরিচালিত হন- তখন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।'
মুর্শিদাবাদ ও কেরালার এর্নাকুলামে বসে দেশব্যাপী বড়সর নাশকতার পরিকল্পনা চালাচ্ছিল আল-কায়দা জঙ্গিরা। শনিবার সেই পরিকল্পনা বানচাল করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। গ্রেফতার করা হয়েছে আল-কায়দার ৯ জঙ্গিকে। মুর্শিদাবাদ ও এর্নাকুলাম থেকে আল-কায়দার ভারতীয় মডিউলের ৯ জঙ্গিকে গ্রেফতারকরেছে এনআইএ। এই দুই জায়গাতেই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আল-কায়দা ঘাঁটি থেকে এনআইএ গোয়েন্দারা প্রচুর অস্ত্র ও আইইডি উদ্ধার করেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, পাকিস্তান থেকেই সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ থেকে জঙ্গি সংগঠনের বিস্তার ও কাজ পরিচালনা করা হয়।
এনআইএ-র তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, ‘বাংলার মুর্শিদাবাদ ও কেরালার এর্নাকুলাম সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অনেকদিন ধরেই আল-কায়দার জঙ্গিরা ছড়িয়ে পড়েছিল। ইন্টার স্টেট বা আন্তঃরাজ্য মডিউলে এই সক্রিয় সদস্যরা কাজ করত। নাশকতামূলক কাজের মাধ্যমে নিরীহ সাধারণ মানুষদের মেরে ফেলা জঙ্গি কার্যকলাপের মাধ্যমে আমজনতার মনে ভয়-আতঙ্কের সৃষ্টি করাই ছিল এদের মূল লক্ষ্য। দেশের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য জায়গায় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল এই জঙ্গিরা।’
নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কমল, আতিতুর রহমানকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন