Advertisment

মমতার গণভোটের দাবিতে নিন্দায় মুখর ধনকড়

'দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন, যা অগ্রহণযোগ্য ও অসাংবিধানিক। এই ধরনের দাবি দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে প্রভাবিত করবে।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে গণভোটের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর তাই নিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় মুখর হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে ওই দাবি প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন সিএএ-এর সাংবিধানিক বৈধতা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংবিধান বিরোধী বলে সর্বোচ্চ আদালতে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। নতুন আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানানো হয়েছিল আদালতে। তবে তা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisment

শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী করে ট্যাগ করে বেশ কয়েকটি টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানেই তিনি লিখেছেন, 'দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন, যা অ-গ্রহণযোগ্য ও অসাংবিধানিক। এই ধরনের দাবি দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে প্রভাবিত করবে।'

আরও পড়ুন: ‘নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গণভোট হোক’, মোদী সরকারকে বেনজির চ্যালেঞ্জ মমতার

টুইটে রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে মমতার করা সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে গণভোটের দাবি প্রত্যাহারের জন্য ফের আবেদন করেন। এই দাবিতে অনড় থাকলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ধনকড়ের তরফে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এনআরসি ইস্যুতে গণভোটের দাবি পুনর্বিবেচনা করবেন বলে টুইটে আশাপ্রকাশ করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

বৃহস্পতিবার কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

এনআরসি ও সিএএ নিয়ে সরব তৃণমূল নেত্রী। গত চারদিন ধরেই পথে নেমে আন্দোলনে শামিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'বুকের পাটা থাকলে গণভোটে এগিয়ে আসুন। আপনারা নয়, রাষ্ট্রসংঘ করবে’’। গতকাল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি বিরোধিতায় মোদী সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সভায় মমতা বলেন, ‘‘বুকের পাটা থাকলে একটা ভোট হোক। সারা দেশে গণভোট হোক সিএএ ও এনআরসি নিয়ে। আপনারা (মোদী সরকার) করবেন না, রাষ্ট্রসংঘ করবে। রাষ্ট্রসংঘ, মানবাধিকার কমিশন, আর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি হোক। আমরা চাই, তারা ভারতবর্ষে গণভোট করুক। দেখা যাক এই আইন কতজন মানছেন আর কতজন মানছেন না। যদি না মানেন, তাহলে বলুন ইস্তফা দিতে বাধ্য হবেন। আগুন নিয়ে খেলবেন না।'

পাশাপাশি, সিএএ-এনআরসি-র প্রতিবাদ জানাতে দেশের সকলকে একত্রিত হয়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, 'সারাদেশের সবাইকে বলছি। সবাই রাস্তায় নামুন। কখনও রাস্তায় নামতে হয়। ভুলে যান রাজনৈতিক দলের নাম কী, ভুলে যান সম্প্রদায়ের নাম কী, সকলে একত্রিত হয়ে নামুন'।

Mamata Banerjee nrc caa
Advertisment