রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াই বিধানসভার অধিবেশন! সংবিধান স্মরণ করিয়ে কটাক্ষ ধনকড়ের

সাংবিধানিক নিয়ম মেনে এবার আর রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে না।

সাংবিধানিক নিয়ম মেনে এবার আর রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update

সাংবিধানিক নিয়ম মেনে এবার আর রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে না। বৃহস্পতিবারই সর্বদলীয় বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। নজিরবিহীন এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইটবার্তায় সংবিধানের ধারা তুলে ধরে নিয়ম স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisment

টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, 'সংবিধানের ১৭৬’এর এ ধারা অনুযায়ী, বছরের প্রথম বিধানসভা অধিবেশন শুরু হয় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে, এর অন্যথা হয় না। অথচ একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভাতেই এবার তা হচ্ছে না।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কোনওভাবেই সংবিধানের এই নিয়ম এড়িয়ে যেতে পারে না বলে জানিয়েছেন জগদীপ ধনকড়।

Advertisment

কেন অসন্তুষ্ট জগদীপ ধনকড়?

ভোটের আগে এবারের বিধানসভার শেষ অধিবেশনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের ভাষণ হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার নিজের চেম্বারে তা জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। দু'দিনের বিশেষ অধিবেশনের পর আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪ টার সময় ফের বিধানসভার অধিবেশন বসবে। ওইদিন ২০২১-২২ আর্থিক বছরের ভোট অন অ্যাকাউন্ট বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ৮ ফেব্রুয়ারি বাজেটের উপর আলোচনা হবে।

স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধিতা করেছে বাম-কংগ্রেস। কেন সংবিধান মেনে অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণ হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এই দুই দল।

অবশ্য এর ব্যাখ্য়াও দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁর যুক্তি, বিধানসভার যে অধিবেশন গত ৯ সেপ্টেম্বর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়, সেটাই বুধবার চালু করা হয়েছে। সংবিধানের ১৭৬ ধারা অনুসারে যা নিয়মের লঙ্ঘন নয়। গত বছর যে অধিবেশন ডাকা হয়েছিল তার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়নি। সেই অধিবেশন পুনরায় চালু করা হয়। তাই নতুন বছরের প্রথম অধিবেশন বলে এটিকে ধরা যাবে না। ফলে অধিবেশনের সূচনায় রাজ্যপালের ভাষণের প্রয়োজন নেই। উদাহরণ হিসাবে ১৯৬৩ ও ২০০৩ সালে সংসদের অধিবেশনের কথা তুলে ধরেন তিনি।

যদিও রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এক্ষেত্রে রাজ্যপাল-নবান্নের খারপ সম্পর্কের আঁচ পড়েছে। গতবারের অধিবেশনে শুরুতে ভাষণ দেওয়ার পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যের লিখে দেওয়া সব বক্তব্য তিনি পড়লেও তার সম্পূর্ণটার সঙ্গে সহমত নন। এরপর গত এক বছরে মমতা সরকারের নানা কাজের সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। তাই এবার অধিবেশনের সূচনা ভাষণ থেকেই বাদ দেওয়া হল রাজ্যপালকে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Mamata Banerjee west bengal politics Jagdeep Dhankhar