হাওড়া পুরনিগম থেকে বালি পুরসভা পৃথকীকরণ বিলে রাজ্যপালের সম্মতি সাক্ষর নিয়ে বিতর্ক জিয়ে থাকলো। গতকালই কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলে সই করেছেন। কিন্তু, অ্যাডভোকেট জেনারেলের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলটি এখনও রাজ্যপালের বিবেচনাধীন৷'
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ হয়েছিল। তার আগেই হাওড়া পুরনিগম থেকে বালি পুরসভা পৃথকীকরণ বিলে রাজ্যপাল সম্মতি সাক্ষর করেছেন বলে খবর হয়। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই প্রসঙ্গেই তিনি জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপালের কাছে। জগদীপ ধনকড় নাকি তাঁকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনও পুরবিলে তিনি অনুমোদন দেননি।
এরপরই শনিবার সকালে টুইট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'সাংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শ্রী জগদীপ ধনকড় হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এ অনুমোদন সাক্ষর করেছেন। কিন্তু তা সঠিক নয়। মমতা সরাকরের তরফে তথ্যের জন্য সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০০-র অধীনে এটি বিবেচনাধীন রয়েছে।'
ফলে হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলে রাজ্যপালের অনুমোদন ঘিরে ফের একবার ধোঁয়াশা তৈরি হল। রাজভন ও নবান্ন সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হলো।
এ দিকে রাজ্যপালের টুইটকে কেন্দ্র করে সরব বিজেপি। গেরুয়া নেতা অমিত মালব্য টুইটে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি মমতা নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার সংবিধানকে ধ্বংস করছে। টুইটে মালব্য লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গ সাংবিধানিক কাঠামোর ধ্বংস দেখছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন মিথ্যা কথা বলছে এবং আদালতকে বিভ্রান্ত করছে, রাজ্যপালের অফিসের সিদ্ধান্তকে আরোপিত করা হচ্ছে, যা কখনওই করা হয়নি। এটা ভাল সংকেত নয়। সাংবিধানিক ভাঙ্গন অনিবার্য।'
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'ভয়ঙ্কর ঘটনা। রাজ্যপালের দাবি তিনি কোনও পুর বিলে সই করেননি। অথচ মমতা সরকার কোর্টে দাবি করছেন সাংবিধানিক প্রধান সাক্ষর করেছেন। তাহলে মানতে হবে রাজ্য সরকার আদালতে মিথ্যা দাবি করছেন। মমতা সরকারের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন