বৃহস্পতিবারই সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও গোটা ঘটনা 'পূর্ব পরিকল্পিত' বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই ইস্যুতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নে মমতা সরকারকে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বৃহস্পতিবারের ঘটনা 'অত্যন্ত লজ্জাজনক' বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা প্রয়োগ নিয়েও সরব হন তিনি। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান সংবিধান থেকে সরলে সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্ব শুরু হবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।
এক নজরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বক্তব্য-
* 'আমাকে সংবিধান মেনে চলতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীরও সাংবিধানিক কর্তব্য রয়েছে। ওঁকে সংবিধান মেনে চলতেই হবে।'
* 'ডায়মন্ড হারবারের ঘটনা সংবিধানের পক্ষে অবমাননাকর। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করা সত্ত্বেও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। দয়া করে আগুন নিয়ে খেলবেন না।'
* 'মুখ্যসচিব-ডিজিপিকে বলেছি যে এমন ঘটনা ঠিক নয়। আর যেন না ঘটে।'
* 'দেশের নাগরিকদেরই বহিরাগত বলছেন মুখ্যমন্ত্রী! ভারত এক দেশ, এখানে সব নাগরিক সমান।'
* 'এক জন দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এমন ভাষা প্রয়োগ করেন। ক্ষমা চাইলে ওনারই সম্মান বাড়বে।'
* 'রাজ্যে বিরোধীরা দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে পাচ্ছেন না। বিরোধীদের কার্যকলাপ নৃশংস ভাবে দমন করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট পাঠিয়ে সব জানিয়েছি। এমন ঘটনা আর বরদাস্ত নয়।'
* 'ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের আচরণ সংবিধানের পক্ষে অবমাননাকর।'
* 'প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা চলছে। কয়েক জন আমলা রাজনৈতিক কর্মী হয়ে উঠেছেন। এমন ২১ জন আমলার নাম' নথিভুক্ত করেছি।'
* 'একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে চিঠি পাঠালেও সাড়া দেন না মুখ্যমন্ত্রী। টুইটে জবাব দেওয়া হয়।'
* 'করোনা সরঞ্জাম ক্রয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কোথায় রয়েছে সেই সব রিপোর্ট?'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন