দেশের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিলেন জগদীপ ধনখড়। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। গত মাসেই দ্রৌপদী মুর্মু দেশের দ্বিতীয় মহিলা এবং প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার শপথবাক্য পাঠের আগে ধনখড় যান রাজঘাটে। সেখানে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে তিনি শ্রদ্ধা জানান। তাঁর শপথবাক্য পাঠের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন ধনখড়ের পূর্বসূরি, সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও।
উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড় শপথ নেওয়ায় তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী উপরাষ্ট্রপতি হলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও। এর ফলে লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুটোই এখন থেকে পরিচালিত হবে রাজস্থানের দুই ব্যক্তির দ্বারা। এর কারণ, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাজস্থানের সাংসদ। আর, ধনখড়ও রাজস্থানের বাসিন্দা।
উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড়কে প্রার্থী করেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডি)। আর, বিরোধীদের প্রার্থী ছিলেন মার্গারেট আলভা। ভোটাভুটিতে আলভাকে ৩৪৬ ভোটে ধনখড় পরাস্ত করেন। লোকসভার সচিবালয়ের দেওয়ার তথ্য অনুযায়ী, ৭৮০ ভোটের মধ্যে ৭২৫টি ভোট পড়েছিল ভোটাভুটির দিন। তার মধ্যে ধনখড় পেয়েছেন ৫২৮টি ভোট। মার্গারেট আলভা পেয়েছেন ১৮২টি ভোট। ৫০ জন অনুপস্থিত ছিলেন বা ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেননি। আর, ১৫টি ভোট বাতিল হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘তামাশা করছেন মোদী, উপ রাষ্ট্রপতি হওয়ার ইচ্ছা ছিল না’, দাবি নীতীশের
১৯৫১ সালে রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জগদীপ ধনখড়। প্রথমে তিনি স্থানীয় স্কুলের লেখাপড়া করেন। এরপর চিতোরগড়ের সেনা স্কুলে ভর্তি হন। তাঁর স্ত্রীর নাম সুদেশ ধনখড়। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে ছিলেন। সেই সময় নানা ইস্যুতে তাঁকে হামেশাই রাজ্যপালের সমালোচনা করতে দেখা যেত। উভয়পক্ষের তিক্ততা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ধনখড়কে ব্লক পর্যন্ত করে দিয়েছিলেন।
রাজভবনে থাকাকালীন বই পড়া এবং খেলাধুলো নিয়েই তাঁর দিনের অনেকটা সময় কেটে যেত। তিনি রাজস্থান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজস্থান টেনিস অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি ছিলেন। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যেতেও ভালোবাসতেন।
Read full story in English