/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/mamata-dhankhar.jpg)
আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে ফের রাজ্যকে তুলোধনা ধনকড়ের।
ফের রাজ্যের রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হলেন রাজ্যপাল। বাংলার আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা 'উদ্বেগজনক' বলে দাবি করেছেন জগদীপ ধনকড়। উদাহরণ হিসাবে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল গন্ডোগোল, হাতাহাতি এবং রাজ্যে নারীদের উপর বর্বোরিচত অপরাধের বিষয় তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল। এইগুলি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন তিনি। আজই পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
এ দিন দুপুরে টুইট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে দেওয়া তাঁর চিঠিটি জুড়ে দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। চিঠিতে উল্লেখ যে, 'পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কলকাতার হাইকোর্টে বিরক্তিকর এবং অভূতপূর্ব উদ্বেগজনক পরিস্থিতির পাশাপাশি মহিলাদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধের সাম্প্রতিক ঘটনা এবং রাজ্যে ক্রমাগত অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলার পরিপ্রেক্ষিতে আজই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলাপচারিতার জন্য অনুরোধ করেছেন।'
WB Guv has urged CM Mamata Banerjee for interaction during the day in view of disturbing and unprecedented worrisome scenario in the precincts of High Court at Calcutta as also the recent spate of heinous crime against women and continual deteriorating law & order in the State. pic.twitter.com/e1hKfMcVg4
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 13, 2022
এছাড়াও চিঠিতে রয়েছে যে, 'আপনি নিশ্চয়ই সহমত হবেন যে, সংবিধান এবং আইনের শাসন দ্বারা পরিচালিত ব্যবস্থায় আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পথ রুদ্ধ হলে তা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক হয়ে ওঠে।'
বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যাপালের উদ্বেগ প্রকাশকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, 'রাজ্যপালের উদ্বীগ্ন রোগ আছে। এ ধরণের রাজ্যপাল আগে দেখা যায়নি। দেখেছি যে, কয়েকদিন আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ওনার রোগের বিষয়ে ডাক্তাররা ভালো বলতে পারবেন।'
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এ নিয়ে আলোচনার জন্য সাতদিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। পরে, রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকও সেরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।