দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল। তবে এই সফরের কারণ স্পষ্ট করেননি জগদীপ ধনকড়। সাধারণত কোথাউ গেলে তা আগেই সোশাল মিডিয়ায় সকলকে জানান তিনি। এদিন অবশ্য দিল্লি রওয়া হওয়ার আগে টুইটারে গীতার শ্লোক পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে উল্লেখ, 'কাজ করে যাও, ফলের আশা করো না।'
এদিন টুইটারে গীতার অমোধ শ্লোক তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, 'নিজের কর্তব্য করে যাও, ফলের আশা করো না। কাজের সময় অহঙ্কার ত্যাগ করো।’ গীতা ধর্ম ও জাতির ঊর্ধ্বে, শান্তি ও সম্প্রীতির জন্ম দেয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। গীতার মাহাত্ম্য সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘ভাগবত গীতা হল একটি কালোত্তীর্ণ পথপ্রদর্শক।’ কঠিন সময়ে নিষ্ক্রিয় থাকা অজুহাত মানবতা এবং সভ্যতাকে কুরে কুরে খেয়ে ফেলে বলেও মনে করেন রাজ্যপাল।
কয়েক সপ্তাহ আগেই দিল্লি গিয়েছিলেন বাংলার রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে বিগত সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ধনকড়। রাজ্যের আইনৃশৃঙ্খলা অবস্থার অবনতি নিয়ে শাহকে তিনি নালিশ জানিয়েছিলেন বলেই মনে হয়।
গত বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কেন এই সাক্ষাৎ তা অবশ্য বলা হয়নি। অবশ্য এরপরদিনই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা করা হয়। ভোট পরবর্তী অশান্তির প্রসঙ্গে শাসক দলের বহু বিধায়ক ও নেতাকে 'কুখ্যাত দুষ্কৃতি' বলেও দেগে দেয় কমিশন। যার বিরুদ্ধে সরব হন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী। কমিশন বিজেপির হয়ে 'প্রতিহিংসারপরাযণ' বলে অভিযোগ করেন মমতা। ফলে নতুন করে বিতর্ক জন্ম নিয়েছে। ফের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক।
এই অবস্থায় রাজ্যপালের আচমকা দিল্লি-যাত্রা রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।