বর্ষশেষে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত নয়া মাত্রা পেল। চলতি মাসে গোয়ায় দলের প্রচারে গিয়ে রাজ্যপালকে যে শব্দবন্ধ ব্যবহার করে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তাতেই ‘অপমানিত’ জগদীপ ধমকড়। বুধবার একগুচ্ছ টুইটে সেকথা স্পষ্টই জানিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
গোয়ায় দলীয় সভায় রাজ্যপালকে ‘রাজভবনের রাজা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছ্লেন যে, 'রাজভবনে একজন রাজা বসে রয়েছেন। তিনি কেবল বিজেপির হয়ে কথা বলেন। বিজেপির প্রেসিডেন্টের থেকেও বড়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির থেকেও বড় তিনি! কেবল বড় বড় কথা বলেন! আর কিছু করেন না!' এতেই 'ক্ষুব্ধ' ও 'অপমানিত' জগদীপ ধনকড়। পরপর তিনটি টুইটে তার আসন্তোষের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যপাল।
টুইটে কী লিখেছেন রাজ্যপাল?
প্রথম টুইটে জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, "বিস্মিত! গত ১৬ ডিসেম্বর গোয়া সফরে গিয়ে এ কী ধরনের শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ‘রাজভবনের রাজা’ এটা কী ধরনের শব্দবন্ধ! মুখ্য়মন্ত্রী কি জানেন না, রাজ্যপালের পদ একটি সাংবিধানিক পদ এবং এই দায়িত্ব একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব!"
অন্য আরেকটি টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে নিয়ে করা মন্তব্য অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক। এ ধরনের মন্তব্য করে উনি কেবল অপমানই করেননি সাংবিধানিক পদমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন। এই ধরনের মন্তব্য সংবিধান বিরোধী। রাজ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক।"
পরের টুইটে ধনকড় লিখেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত সংবিধানের ১৬৭ধারার আওতাধীন 'কর্তব্য' লঙ্ঘন করছেন এবং ১৬৬ ধারা ভঙ্গ করে আমলাতন্ত্রের রাজনীতিকরণ করছেন।"
প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফরের দু'সপ্তাu পার হয়ে গিয়েছে। তাহলে কেন হঠাৎ এত পরে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ তুলে ধরে নিজের অপমানের কথা তুলে ধরলেন রাজ্যপাল?