Jwahar Sarkar: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় মনোনীত হলেন প্রাক্তন আমলা জহর সরকা। সোমবার তাঁর হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত এদিন রাতের দিকেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন এই নবনির্বাচিত সাংসদ। কবে শপথ গ্রহণ এখনও স্থির হয়নি এদিন জানান জহরবাবু। সেই সিদ্ধান্ত দলের সংসদীয় কমিটির ওপর ছাড়লেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন এই সিইও। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর তিনটে পর্যন্ত ছিল রাজ্যসভার একটি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। দুপুর তিনটে পর্যন্ত অন্য কোনও দলের তরফে মনোনয়ন জমা পড়েনি। তাই বেলার দিকে বিধানসভার সচিবের সঙ্গে দেখা করেন জহর সরকার। তখনই তাঁকে জয়ী ঘোষণা করে হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন সচিব। বাদল অধিবেশনেই রাজ্যসভায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা তাঁর। উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই আসনেই জয়ী হলেন জহর।
এদিকে, এদিন প্রাক্তন আমলার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। এদিন সাংসদ মনোনীত হয়ে জহর বলেছেন, ‘আমি আরও একটি সুযোগ পেলাম। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নানাভাবে প্রতিবাদ করেছি। এবারও সেই প্রতিবাদ করব। রাজনীতির জন্য অনেক ব্যাটসম্যান আছে, ওরা যেখানে আমাকে কাজে লাগাবে সেখানেই কাজ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোদী সরকারের সঙ্গে আমার মতপার্থক্যর জন্য দায়িত্ব ছেড়ে বেরিয়ে আসি। এদের সঙ্গে কাজ করা যায় না। বেরিয়ে আসার পর ডিমনিটাইজেশন। এটা কতবড় ভুল, এখনও তা কেউ বুঝতে পারেনি। সরকারি সুত্র বলেই নোটবন্দি ঠিক হয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পক্ষেত্রে আমি কাজ করেছি। পুরো বিষয়টি নগদ লেনদেনের উপর চলে। নোটবন্দির ফলে এই ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।’
সংসদের উচ্চকক্ষের সাংসদ হিসেবে তাঁর ভূমিকা কী হবে? এই প্রশ্নের জবাবে জহর বলেছেন, ‘চাকরি জীবনে যেভাবে শিখতে শিখতে কাজ করেছি, সেভাবেই একের পর এক ইস্যু নিয়ে সরব হব। যেমন পেগাসাসের ফোনে আড়িপাতা নিয়ে সরব হব, তেমনই সরব হব কোভিড নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের বিরুদ্ধে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের বলা সব তথ্যই তো আমার কাছে আছে। তার নিরিখেই আমি জানতে সত্যিটা চাইব।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন