Advertisment

২০১৯ লোকসভা: জঙ্গলমহলে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় জোর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির গুছিয়ে নামছে রাজ্যে। জঙ্গলমহল ও রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় ধুমধাম করে জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ওই এলাকায় লোকসভার আসনের ওপর জোর দিচ্ছে বিজেপিও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
vhp

রাজ্য়জুড়ে মহাধুমধাম জন্মাষ্টমী উৎসব করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

২০১৯ লোকসভা নির্বাচন। এই রাজ্যে বিজেপির লক্ষ্য ২২ টির বেশি আসন। এদিকে নির্বাচনের আগের বছরই পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জাঁকজমক করে পালন করতে চলেছে জন্মাষ্টমী। অন্য বছরের তুলনায় এবার রাজ্যব্যাপী অনুষ্ঠানের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। ২ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমীর দিন থেকে সাত দিন ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ স্থাপনা দিবস পালন করবে। পরিষদের পক্ষে সৌরিশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যে প্রায় ১,০০০টি শোভাযাত্রা এবং আরও ১,০০০ জায়গায় ঘরোয়াভাবে জন্মাষ্টমী পালন করা হবে। বিশেষভাবে এবার নতুন উন্মাদনায় জন্মাষ্টমী পালন করা হবে জঙ্গলমহল ও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে। তাছাড়া প্রতিটি জেলায় ও কলকাতায় অনুষ্ঠান হবে।"

Advertisment

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই জঙ্গলমহল নিয়ে বিশেষ উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক ভাবে এলাকা পুনরুদ্ধারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দুপক্ষেরই টার্গেট জঙ্গলমহল। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীরা দলবদলও শুরু করে দিয়েছে। ওই এলাকায় সভা করেছেন অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী। সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই জঙ্গলমহলেই জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

আরও পড়ুন: দলবদলে তৃণমূল কংগ্রেসকে টেক্কা দেওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

বিজেপি সাংগঠনিক ভাবে বিস্তার লাভ করেছে এই অঞ্চলে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদেরও দাবি, ওই অঞ্চলে তাদেরও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। সৌরিশবাবু জানান, সংগঠন বৃদ্ধি পাওয়ায় শোভযাত্রা বা জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান জঙ্গলমহলে জাঁকজমক করেই হবে। অন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কথা তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, "ওঁরা যখন অনুমতির জন্য আসবেন তখন দেখব যথোপযুক্ত ব্যবস্থাপনা কী করা যাবে। এখনও পর্যন্ত আসেননি। তাছাড়া প্রতিটি বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।"

লক্ষ্যণীয় বিষয়, শুধু জঙ্গলমহল নয়, রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতেও অনুষ্ঠানের তোড়জোড় করছে পরিষদ। মুর্শিদাবাদ, মালদা, দুই দিনাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণাসহ রাজ্যের সমস্ত সীমান্ত এলাকায় জন্মাষ্টমী পালন করবে তারা। ওইসব এলাকায় আগের চেয়ে সংগঠন বেড়েছে বলেই তাদের দাবি। রাজনৈতিক ভাবে ওই সব সীমান্ত এলাকায় বিজেপিও সংগঠন বিস্তার করতে তৎপর।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগের বছর এই তোড়জোর কীসের ইঙ্গিত? রাজনীতির সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই বলেই দাবি বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দুই পক্ষেরই। বিজেপির সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, "জন্মাষ্টমীতে আমাদের কোনও অনুষ্ঠান নেই। অন্য কোনও সংগঠনের থাকলে বলতে পারব না।" অন্য দিকে পরিষদও জানিয়েছে সংগঠন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই এবার অনুষ্ঠান অনেক বেড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বিজেপি বাঙালী বিরোধী, অমিত শাহকে কড়া জবাব মমতার

তবে গত বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি শোভাযাত্রা বের করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে পরিষদ। তবে গতবছর কতগুলো শোভাযাত্রা বেরিয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই বলেই জানিয়েছে পরিষদ। জেলাগুলোর মত কলকাতায়ও বেশ কয়েকটি শোভাযাত্রা বের করা হবে। শ্যামবাজার থেকে বড় শোভাযাত্রা হবে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে হিন্দু অস্মিতা রক্ষা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত ব্লক এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে আপামর ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সমস্ত অনুষ্ঠানগুলিতে সংকীর্তন দল, মহিলাদের উপস্থিতি এবং বালক বালিকাদের কৃষ্ণ সেজে সুসজ্জিত ট্যাবলো সহকারে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে, যদিও এটা রথযাত্রা নয় বলেই পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

এর আগে রামনবমী পালন করা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তাছাড়া রামনবমী উৎসব বরাবর পালন করে এসেছে পরিষদ। তবে এবার শ্রীকৃষ্ণের জন্ম দিবস পালনের তোড়জোর অন্য বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

tmc bjp jangalmahal VHP
Advertisment