জম্মু-কাশ্মীরের প্রতি কংগ্রেসীদের মনোভাব নিয়ে ফের চড়া সুর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র। কাশ্মীরের একাংশ পাকিস্তানের দখলে, যা পাক অধিকৃত কাশ্মীর বলে পরিচিত। কাশ্মীরের এই অবস্থার জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডেপুটি। নিশানা করেছেন দেশের সবচেয়ে প্রাছীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসকে। বুধবার সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল ২০২৩ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ২০২৩ পাস হয়। এই বিলগুলোর উপর আলোচনার সময় কাশ্মীর ইস্যুতে পণ্ডিত নেহেরুর নীতিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন শাহ। ফলে প্রবল চেঁচামিচি শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। কংগ্রেসী সাংসদরা ওয়াকআউটও করেন।
কী বলেছেন অমিত শাহ?
লোকসভায় বিতর্কের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নেহরুর দু'টি ভুলের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে - প্রথমত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা এবং তারপরে কাশ্মীর ইস্যুটিকে রাষ্ট্রসংঘে নিয়ে যাওয়া। নেহেরু কি সঠিক পদক্ষেপ করেছিলেন? জওহরলাল নেহেরু যদি সঠিক পদক্ষেপ করতেন, তাহলে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর বলে কিছু থাকতো না। পাক দখলকৃত কাশ্মীর এখন ভারতের অংশ হয়ে যেত। এটা নেহেরুর একটা ঐতিহাসিক ভুল ছিল।"
কেন পুরো কাশ্মীর হাতে না পেয়ে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অমিত শাহ।
জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল ২০২৩ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ২০২৩ পাসের পর সংসদে অমিত শাহ দাবি করেছেন যে, এর ফলে সত্তর বছর ধরে কাশ্মীরে অপমানিত, অন্যায়ভাবে উপেক্ষিত, বঞ্চিত বাসিন্দাদের ন্যায়বিচার ফিরিয়ে দেবে।
প্রতিবছর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন, ৬ ডিসেম্বর দেশজুড়ে ‘শৌর্য দিবস’ পালন করে ভারতীয় জনতা পার্টি। বুধবার সেই ৬ ডিসেম্বর। আর, এদিনই লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধন) বিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল নিয়ে সংসদে বিতর্কের জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় একটি আসন পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে বাস্তুচ্যুতদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
আরও পড়ুন- ‘শৌর্য দিবস’-এ কাশ্মীর নিয়ে উথালপাতাল করা প্রস্তাব শাহর, শীতেই উত্তপ্ত সংসদের অধিবেশন?