নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা জানিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। এদিকে তাঁর নিজের দলই এই আইনকে সমর্থন করেছে। এমতাবস্থায় দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন জেডিইউ নেতা পবন ভার্মা। যার জেরে জেডিইউ শিবিরে বড় ফাটলের আশঙ্কা। সিএএ-কে সমর্থনের বিষয়ে প্রথম থেকেই নীতীশ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সরব হয়েছিলেন পবন ভার্মা। একইসঙ্গে সিএএ সমর্থনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য নীতীশ কুমারের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন এই জেডিইউ নেতা। এমনকি, জেডিইউ-এর সিএএ সমর্থনের ব্যাপারে বিরোধিতা জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন দলের আরেক নেতা তথা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও। এই প্রেক্ষিতে পবনের দল ছাড়ার সিদ্ধান্তে জেডিইউ শিবিরে অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: পিকের পরিবর্তন? নীতীশকে ছেড়ে কি এবার মমতার সঙ্গেই ভোটগুরু?
পবন ভার্মা। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ পবন ভার্মা বলেন, ‘‘আগামী কয়েকদিনেই সিদ্ধান্ত নেব। এই অবস্থায় দলের সঙ্গে থাকা মুশকিল’’। তিনি আরও বলেন, ‘‘সিএএ সমর্থন জেডিইউ-এর পক্ষে ঠিক নয়। নতুন আইন সমর্থন করাটা জেডিইউ-এর নীতির বিরুদ্ধে। এজন্য আমি হতাশ’’। ভার্মা বলেন, ‘‘এনআরসি ও সিএএ একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’’।
আরও পড়ুন: ‘আধার-ভোটার কার্ড নহি চলেগা! বিজেপি কা মাদুলি চলেগা?’, শাহকে প্রশ্ন মমতার
লোকসভায় ক্যাব সমর্থন নিয়ে জেডিইউ নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে টুইটারে প্রশান্ত কিশোর লিখেছিলেন, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করেছে জেডিইউ। এই সিদ্ধান্তে আমি হতাশ। যে বিল ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবে, সেই বিলকে সমর্থন করল! এটা দলের গঠনতন্ত্রের সঙ্গে বেমানান। যে দলের নেতৃত্ব গান্ধীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত, সেই দল এই বিলকে সমর্থন করল!’’
Read the full story here in English