বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। ঝাড়গ্রামে এবার বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার গভীর রাতে হরিনাম সংকীর্তনের আসরে ২০ বছর বয়সী খগপতি মাহাত নামে এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কবি মাহাত ও শান্তনু মাহাত নামে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। যদিও এ ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। ‘পুরনো বিবাদের’ জেরেই এ ঘটনা বলে দাবি তৃণমূলের।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতাকে ‘গুলি করে খুন’
ঠিক কী ঘটেছিল?
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১টা-১.৩০ মিনিট নাগাদ জামবনির বাঘুয়া গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের আসরে খগপতি নামের ওই তরুণকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। স্থানীয়দের একাংশ ও বিজেপির দাবি, কবি ও শান্তনু মাহাত নামে দু’জন এ ঘটনায় জড়িত। অভিযুক্তরা তৃণমূলের বলে দাবি। গুলিবিদ্ধ খগপতিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। সেখান থেকে খগপতিকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত কেশপুর, জখম প্রায় ৫০
এ ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি নেতা সুখময় শতপতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘কেন্দুয়া বুথের সহ সভাপতি খগপতিকে গুলি করেছে। মাওবাদী থেকে তৃণমূলে যাওয়া কর্মীরাই জড়িত। কীর্তনের অনুষ্ঠান চলাকালীন গুলি করা হয়। আগের মতো সন্ত্রাস তৈরির জন্য এসব করছে। বুঝেছে মানুষ পাশে নেই, তাই ভয় দেখিয়ে ফের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। প্রশাসনকে বলেছি, এলাকায় প্রচুর অস্ত্র মজুত রয়েছে’’।
উল্লেখ্য, শনিবার সাতসকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে তৃণমূল নেতা দিলীপ রামকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। খুনের প্রতিবাদে আজ ব্যান্ডেলে বনধ ডেকেছে তৃণমূল।