চলছে বিধানসভা নির্বাচনের শেষ পর্বের গণনা। বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত মিলিয়ে ঝাড়খণ্ডে মসনদ হারাতে চলেছে বিজেপি। জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটগণনার শুরু থেকেই এগিয়ে রয়েছে। গণনার প্রবণতা অনুযায়ী ৪৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিরোধী জোট। ২৩ আসনে এগিয়ে বিজেপি। এজেএসইউপি ৪ ও অন্যান্যরা ৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এআরসি নিয়ে প্রবল বিতর্কের মাঝেই ঝাড়খণ্ডে ৫ দফায় ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তাই এই ভোটের ফলাফল বিশেষ তাৎপর্যবাহী শাসক বিজেপি ও বিরোধী শিবিরের কাছে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত পাঁচ বছর ঝাড়খণ্ড শাসন করেছে বিজেপি ও তার শরিক এজেএসইউ, জেভিএম(পি) জোট। মুখ্যমন্ত্রীত্বের দায়িত্বে ছিলেন রঘুবর দাস। এবারও জামশেদপুর-পূর্ব কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন তিনি। কিন্তু, বুথ-ফেরত জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী ঝাড়খণ্ডে এবার পাপড়ি মেলতে পারবে না পদ্ম। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডির জোটকে এগিয়ে রেখেছে একাধিক বুথ-ফেরত সমীক্ষা। আবার বেশ কয়েকটিতে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত মিলেছে।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে হারতে চলেছে বিজেপি, বলছে প্রায় সবকটি বুথ ফেরত সমীক্ষা
জাত-পাতের রাজনীতির জেরে আদিবাসী ও জনজাতি মহলে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের গ্রহণযোগ্যতা প্রায় তলানিতে। বিজেপির খারাপ ফলের কারণ হিসাবে এই বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছে জনমত সমীক্ষায়। এছাড়াও রয়েছে গত পাঁচ বছর ধরে শাসনের নেতিবাচক প্রভাব। ঝাড়খণ্ডের মসনদ ধরে রাখতে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে গিয়েছেন। তবে, কংগ্রেস বা জেএমএম জোটের মত স্থানীয় ইস্যুকে প্রচারে তেমন গুরুত্ব দেননি তারা। উল্টে, ৩৭০ ধারা বিলোপ, রাম মন্দির, তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী আইনকেই প্রচারে পুঁজি করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
ঝাড়খণ্ডে মোট আসন ৮১। ম্যাজিক ফিগার ৪১। ২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটে গেরুয়া শিবির জিতেছিল ৩৭ আসন। পাঁচ আসনে জেতা এজেএসইউ-এর সমর্থনে সরকার গঠন করে। পরে ৬ বিধায়কের দল বাবুলাল মারান্ডির জেভিএম(পি) শাসক শিবিরের জোটে যোগ দেয়। কংগ্রেস ও জেএমএম জিতেছিল যথাক্রমে ৬ ও ১৭ আসনে। এবার বিজেপি একাই প্রতিন্দন্দ্বিতা করছে ভোটে। অন্যদিকে, হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়েছে।
Read the full story in English