ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের আগেই কার্যত ভাঙল এনডিএ জোট। অল ইন্ডিয়া ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের পর এবার আসন্ন নির্বাচনে একা লড়াইয়ের ঘোষণা করল লোক জনশক্তি পার্টি। মঙ্গলবার টুইট করে নিজেই এখবর জানান এলজেপি নেতা চিরাগ পাসোয়ান। ঝাড়খণ্ডে ৫০টি আসনে প্রার্থী দেবে এলজেপি।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শরিক এলজেপি। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সদস্য পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান। বিহারেরও পদ্ম ও নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট করে রাজ্যের ক্ষমতায় এনডিএ। কিন্তু, আসন ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে ঝাড়খণ্ডে জোটকে তোয়াক্কা না করেই সিংহভাগ আসন একা লড়ার কথা জানিয়ে দিল এলজেপি। এর আগেই অবশ্য এনডিএ-এর অন্য শরিক সংযুক্ত জনতা দল-ও একা লড়ার ঘোষণা করেছিল এই রাজ্যে।
আরও পড়ুন: ‘মহা’সংকট: রাজ্যপাল সময় না বাড়ানোয় সুপ্রিম কোর্টে সেনা
এদিন টুইটে চিুরাগ পাসোয়ান জানান, 'লোকজনশক্তি পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঝাড়খণ্ডে ৫০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।' সম্প্রতি রাজ্যে দলের ক্ষমতায় এসেছে চিরাগ পাসোয়ান। বিহার সহ প্রতিবেশী রাজ্যে দলকে সংহত করার কাজ করছেন তিনি। ২০১৪ সালে এলজিপিকে একটি আসন ছেড়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেটিতেও পরাজিত হয়েছিলেন দলীয় প্রার্থী। এবার তাই বেশি আসনে লড়ার দাবি বিজেপির কাছে করে এলজেপি। যা মানেনি গেরুয়া শিবির।নিশ্চিতভাবেই পাঁচ বছর আগের অভিজ্ঞতার প্রতিফলন চায় না এলজেপি। দুই রাজ্যে খারাপ ফলাফলের পর ঝাড়খণ্ড নিয়ে বেড়ে খেলতে রাজি নয় মোদী-শাহরা। সুযোগ বুঝে তাই দরকষাকষি করতে শরিকদের তড়িঘড়ি এক চলার সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।
झारखंड में चुनाव लड़ने का आख़िरी फ़ैसला प्रदेश इकाई को लेना था।लोक जनशक्ति पार्टी झारखंड प्रदेश इकाई ने यह फ़ैसला लिया है पार्टी 50 सीटों पर अकेले चुनाव लड़ेगी।आज शाम तक पार्टी के उमीदवारों की पहली सूची का एलान हो जाएगा।
— Chirag Paswan (@ichiragpaswan) November 12, 2019
এদিকে, রাজ্যের বিজেপি প্রার্থীর ঘোষিত কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে দেয় রাজ্যে এনডিএ জোটের আরেক শরিক অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। বিজেপিরর তোয়াক্কা না করে রাজ্যের ১২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। ওই ১২ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপিও।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন
ঝাড়খণ্ডের মোট আসন ৮১। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফায় হবে ভোট। ফলাফল ২৩ ডিসেম্বর। এনডিএ বিরোধী শিবির অবশ্য জোট বেঁধে ভোট লড়ছে ঝাড়খণ্ডে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডি মিলে জোট বেঁধেছে। ৮১ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস লড়ছে ৩১ আসনে। আসজেডি ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা লড়ছে যথাক্রমে ৭ ও ৪৩ আসনে।
লোকসভা ভোটে ব্যাপক জয়ের প্রতিফল হয়নি পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটে। মহারাষ্ট্রে শরিক শিবসেনার ৫০-৫০ মুখ্যমন্ত্রীত্বের ফর্মুলা না মানায় ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছে পদ্ম শিবিরের। এবার ঝাড়খণ্ডেও দলের সঙ্গে দুই এনডিএ শরিকের বিবাদ প্রকাশ্যে এলো। এবার কী করবে বিজেপি? নির্বাচনে সব আসনে তারা প্রার্থী দেবে, নাকি আসন ভাগাভাগিতে নতুন সমঝোতার রাস্তা খুলবে? সেদিকে নজর রাজনীতির কারবারীদের।
Read the full story in English