Advertisment

বিজেপির জোর ধাক্কা, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা জয় হেমন্ত সোরেন সরকারের

বিধানসভায় একবার আস্থা প্রমাণিত হলে, আগামী ছয় মাসের জন্য সেই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যায় না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jharkhand CM Hemant Soren

হেমন্ত সোরেন

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা প্রমাণ করল হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন সরকার। শাসক জোটের কোনও বিধায়কই সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে আস্থা প্রমাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পালটা হেমন্ত সোরেন অভিযোগ করেছিলেন, দল ভাঙানোর খেলায় নেমেছে বিজেপি। ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলে দিতে চান বিজেপি নেতৃত্ব। মহারাষ্ট্রের মতই বিরোধীদের সরকার ভেঙে নিজেদের সরকার গড়তে চায়। এজন্য জোট সরকারের দুই শরিক কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের তারা নিশানা করেছে।

Advertisment

অভিযোগ, বিজেপির এই চক্রান্ত রুখতেই পালটা কৌশল নেন হেমন্ত সোরেনরা। সেই কৌশল হল, আস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হওয়া। বিধানসভায় এই প্রস্তাব জিতে গেলে আগামী ছয় মাসের জন্য তাঁর সরকার নিরাপদ। কারণ, আইন অনুযায়ী, বিধানসভায় একবার আস্থা প্রমাণিত হলে, আগামী ছয় মাসের জন্য সেই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যায় না। সোমবারই সেই আস্থা প্রমাণের দিন ছিল। আচমকা কেন আস্থা প্রমাণের দরকার হল, সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় হেমন্ত সোরেন বলেন, 'বিরোধীরা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। বিজেপি নেতৃত্ব বিধায়ক কেনার কথা বলছেন। আজ তাই আমরা বিধানসভায় নিজেদের আস্থা প্রমাণ করলাম। লোকে বাজারে গিয়ে মালপত্র কেনে। আর, বিজেপি বিধায়ক কিনে বেড়াচ্ছে।'

আরও পড়ুন- মাদ্রাসার সংখ্যা কত খোঁজ নিচ্ছে যোগী প্রশাসন, ক্ষুব্ধ মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা সমালোচনার রাস্তায় হেঁটেছে বিজেপিও। দলের তরফে নীলকণ্ঠ মুন্দা বলেন, 'ঝাড়খণ্ডবাসী বিশ্বাস করেন যে সরকার ভয়ে ভয়ে আছে। বিরোধীরা নন, বিচারবিভাগ এবং রাজ্যপাল এই আস্থা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছে। তাহলে এত ভয় কীসের? এই প্রস্তাবই প্রমাণ যে সরকার নিজের বিধায়কদেরই বিশ্বাস করে না।' মুন্দা জানান, 'সরকার দাবি করছে যে তারা যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু, প্রশ্নটা হল ঝাড়খণ্ডের মানুষ কী দেখছেন।'

সম্প্রতি হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সরকার চালাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই ঝাড়খণ্ডে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে হেমন্ত সোরেন পাথরের খাদান লিজ নিয়েছেন। গত ২৫ আগস্ট, এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। তারপরই শাসক জোটের বিধায়ক কেনাবেচার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।

Read full story in English

jharkhand Hemant Soren No-Trust Vote
Advertisment