বিজেপিকে বিশ্বাস করতে পারছে না ঝাড়খণ্ডের শাসক জোট। তাই জোটের বিধায়কদের সরানো হচ্ছে নিরাপদ রাজ্যে। এই নিরাপদ রাজ্যের তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে ছত্তিশগড়ের। শাসক জোটের মাথায় রয়েছে রাজস্থানের নামও। এই দুটো রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। সেকথা মাথায় রেখে এই সব রাজ্যগুলোয় শাসক জোটের বিধায়কদের সরানোর ভাবনা রয়েছে কংগ্রস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জোটের।
এর আগে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা তাদের বিধায়কদের রাজধানী রাঁচি থেকে খুন্তিতে নিয়ে গিয়েছে। এরপর কয়েকদিন কাটতে না-কাটতেই ফের বিধায়কদের সরানো হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। এই বিধায়কদের তালিকায় রয়েছেন ৩১ জন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাবিনেট মন্ত্রীরাও। খুন্তিতে যেভাবে বিধায়কদের হোটেলে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ছত্তিশগড়েও সেভাবেই কোনও হোটেলে কার্যত বন্দি অবস্থায় রাখা হবে শাসকদলের বিধায়কদের। তবে, তারমধ্যেই ছত্তিশগড় জানিয়ে দিয়েছে, তারা সব বিধায়কদের দায়িত্ব নিতে পারবে না। সেই কথা মাথায় রেখে বিকল্প হিসেবে রাজস্থানের কথা মাথায় রাখছেন শাসক জোটের নেতারা।
আরও পড়ুন- তিস্তা শীতলবাদের স্বস্তি! সুরক্ষার জন্য জানাতে পারবেন যথাযোগ্য আবেদন, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
এই ব্যাপারে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ঝাড়খণ্ডের এক বিধায়ক বলেন, 'প্রাথমিকভাবে, ছত্তিশগড় বলেছে যে তারা সব সামলাতে পারবে না। তাই আমরা এবার রাজস্থানে যাওয়ার কথা ভেবেছি। তবে এখন আমরা রায়পুর থেকে নিশ্চিত হয়েছি। সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে বিধায়কদের। কিন্তু, এখনও আমাদের কাছে বিকল্প খোলা আছে। আমরা যে কোনও রাজ্যে যাব।'
ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অবিনাশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, 'ভবিষ্যতের পদক্ষেপ বৈঠকের মাধ্যমেই ঠিক হবে।' ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবিনাশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, জোট নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। রাজনৈতিক ভাবে এই সংকট মোকাবিলার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডে আগামী ১ সেপ্টেম্বর ক্যাবিনেট বৈঠক হবে। যেখানেই যান না-কেন, সেই বৈঠকে যোগ দিতে রাঁচিতে ফিরতেই হবে সোরেন মন্ত্রিসভার সদস্যদের।
ঝাড়খণ্ডের শাসকজোটের কাছে খবর আছে, যেভাবে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতার পাশা বদলে দিয়েছে বিজেপি। সেই একই ছক এবার ঝাড়খণ্ডে প্রয়োগের ফন্দি আঁটছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বেশ কিছুদিন আগে পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে টাকাবোঝাই গাড়ি-সহ ধরা পড়েছেন ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের অন্যতম শরিক তিন কংগ্রেস বিধায়ক। তারপর আরও জল বয়ে গিয়েছে স্বর্ণরেখা, ময়ূরাক্ষীর বুক বেয়ে। তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রতিবেশী রাজ্যটির শাসকজোট।
Read full story in English