রাজ্যপাল রমেশ বৈশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করলেন ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকারের নেতারা। বিধায়ক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বৈধতা কি বাতিল করা হবে? এই বাতিল করার অধিকার রয়েছে রাজ্যপালের। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের পরামর্শের ভিত্তিতে রাজ্যপাল কোনও বিধায়কের বিধায়কপদ খারিজ করতে পারেন।
ইতিমধ্যে, হেমন্ত সোরেনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের মতামতও চেয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল। কারণ, হেমন্তের নামে খনির ইজারা রয়েছে। তাতে তাঁর জনপ্রতিনিধি হিসেবে বৈধতা নষ্ট হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছে ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দল বিজেপি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কমিশনের মতামত জানতে চেয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল।
সেই মতামত তাঁকে মুখবন্ধ খামে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে হেমন্ত সোরেনের পদত্যাগের দাবিতে ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দল বিজেপি সরব। এখন সোরেনের ভবিষ্যৎ কী? কী বলছেন রাজ্যপাল? এই নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে। যে জল্পনা অনির্দিষ্টকাল ঝুলিয়ে না-রেখে, তাতে ইতি টানতে চায় ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট। আর, সেই কারণেই বৃহস্পতিবার তাঁরা ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের এক নেতা জানিয়েছেন, 'এই বৈঠক প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ, ঝাড়খণ্ডের শাসন ব্যবস্থা এবং সরকার, উভয়ই এই বিলম্বের জন্য প্রভাবিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই ঝাড়খণ্ড সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। তাই আমরা কিছু কথা পরিষ্কার করার জন্য ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি।'
সূত্রের খবর, রাজ্যপাল তাঁর সিদ্ধান্ত না-জানানোয় মন্ত্রিসভার বেশ কিছু বিষয় আটকে আছে। যেমন, দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সরকার অনুদান বাড়াতে চায়। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ইতিমধ্যেই দুরারোগ্য রোগের জন্য ঝাড়খণ্ডের একজন ব্যক্তিকে প্রদেয় সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন দরকার।
আরও পড়ুন- শপথ নেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ, তীব্র টানাপোড়েন নীতীশের মন্ত্রিসভায়
পাশাপাশি, গাড়োয়া জেলার রাংকা মহকুমায় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন একটি ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার ছাড়পত্র দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে ওই কলেজ তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেই মতো ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তাতে ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভার একটা অনুমোদন দরকার। এর সঙ্গে, প্রতিদিন বাড়ছে ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনা। মন্ত্রীদের ছত্তিশগড় থেকে ফিরিয়ে আনার পরে সেই আশঙ্কা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রাজ্যপালের সোজা কথা সোজাভাবে শুনতে চায় ঝাড়খণ্ড সরকারের শাসক জোট।
Read full story in English