Advertisment

অসুস্থ দলীয় নেত্রীকে দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে প্রাক্তন বিধায়ক, তাণ্ডব পাণ্ডবেশ্বরে

বিক্ষোভে শাসক দল তৃণমূল মদল দিয়েছে বে অভিযোগ বিজেপির।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
jitendra tiwari allegedly harrassed in pandabeswar by tmc

বিক্ষোভের মুখে মাটিতে বলে প্রতিবাদ জিতেন্দ্র তিওয়ারির। ছবি- অনির্বাণ কর্মকার

অসুস্থ দলীয় নেত্রীকে দেখতে গিয়ে হেনন্থার শিকার হলেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁকে গ্রামে দেখা মাত্রই হুলস্থূল বেঁধে যায়। প্রবল বিক্ষোভের মুখে এক সময়ে মাটিতে বসে পড়েন প্রাক্তন বিধায়ক। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অসুস্থ বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে জানিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক।

Advertisment

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরে। অসুস্থ বিজেপি কর্মী সোনালী গিরিকে দেখতে এ দিন পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি পৌঁছন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁকে দেখা মাত্রই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। প্রাক্তন বিধায়কের গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। অভিযোগ, তার আগে অসুস্থ বিজেপি নেত্রীর বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। চলে স্লোগান। এরপর জিতেন্দ্র তিওয়ারি অসুস্থ নেত্রীর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এলে বিক্ষোভের সুর আরও চড়া হয়। কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি তৃণমূলের মদতে সংগঠিত হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।

ক্রমশ পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠে থাকে। একসময় গাড়ি থেকে বেরিয়ে মাটিতে বসে পড়েন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, "অসুস্থ কর্মীর সঙ্গে মানবিক কারণে দেখা করতে এসেছিলাম। এটা কি অপরাধ? তৃণমূলের লোকেরা যদি সত্যিই পাণ্ডবেশ্বরের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে থাকে তাহলে আমি এখানে প্রবেশ করলেই ভয়ের পরিবেশ কেন সৃষ্টি হয়? স্বাধীন ভারতে যে কোনও মানুষের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। একজন নাগরিক হিসেবে আমি যে কোন জায়গায় আসতে পারি। কিন্তু এধরণের অসভ্যতামি বাংলার শাসক দলই একমাত্র করতে পারে।" জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, পুলিশ জানিয়েই বিজেপি নেত্রী সোনালি গিরির বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। তাও তৃণমূলের হেনস্থা ঠাকানো গেল না। পুলিশের সামনেই চলে বিক্ষোভ। ভয় দেখিয়ে তাঁকে আটকে রাখা যাবে না বলে বিক্ষোভকারীদের কার্যত হুঁশিয়ারি দেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক।

যদিও এই ঘটনাকে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বিধায়কের কথায়, "বিজেপি নেত্রী সোনালি গিরি ভোটের আগে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে গ্রামবাসীদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় আজ প্রতারিত গ্রামবাসীরা ওই নেত্রীর বাড়িতে যান। সেই সময় প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিও সেখানে পৌঁছান। তাঁকে দেখেই মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। যা হয়েছে তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগাযোগ নেই।"

ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp Jitendra Tiwari
Advertisment