শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে বেঠকের কথা ছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। সেখানেই সপরিবারে দেখা যায় তৃণমূলে ফেরা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। তাহলে কী জিতেন্দ্রর গেরুয়া যোগ সময়ের অপেক্ষা? শুরু হয়ে যায় জোর জল্পনা। আর এতেই অস্বস্তিতে আসানসোলের প্রাক্তন পুর প্রশাসক। জল্পনায় জল ঢালতে তড়িঘড়ি সোশাল মিডিয়ায় তাঁর বিজেপি যোগের খবরকে 'মিথ্যা' বলে দাবি করেছেন।
এদিন ফেসবুকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি লেখেন, 'আমার সঙ্গে বিজেপিকে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে একাংশ- যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটা দেখে আমি বেদনাহত। আমি দিদির সঙ্গেই আছি, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই আমার সাধ্য অনুযায়ী দলকে পোক্ত করতে দিদির হয়ে কাজে নামবো।'
জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতেই বেঁকে বসেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ো। এরপরই অবশ্য তাঁর সঙ্গে কথা বলেন শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেননরা। কৈখালির একটি আবাসনে এই নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, জিতেন্দ্রকে নিয়েই কথা হয় বাবুলের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর মনের ভাব বোঝার চেষ্টা করেন গেরুয়া নেতৃত্ব। যদিও বৈঠক প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়ো বলেন 'আমি যখন দলে রয়েছি, তখন আমরা সবাই পার্টির একনিষ্ঠ সৈনিক। আমরা যেখানে যা বলি সে সম্বন্ধে আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনাও হয়। কোথাও কোনও বিতর্ক হয় পার্টিতে আলোচনা হতেও পারে।'
সোমবার রাতে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে বেঠকের কথা ছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। সেখানেই সপরিবারে দেখা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। এরপরই জিতেন্দ্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, 'কোনও রাজনীতি নয়, স্ত্রী-মেয়েকে নিয়েস্রেফ ডিনার সারতে এসেছিলাম। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। আমার এত খারাপ দিন আসেনি যে আমরা সপরিবারে বিজেপির বৈঠকে আসব। এতদিন টালমাটাল অবস্থা চলছিল, তাই এখানে এসেছি, কাল থেকে ফের দলের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করব।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন