তৃণমূলত্যাগী নেতাদের তালিকায় একসময় নাম উঠেছিল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির। সুত্রের খবর, দল বদলে শুভেন্দু অধিকারি-সুনীল মণ্ডলদের সঙ্গে প্রায় বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের এই তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়-সহ আরও কয়েকজনের আপত্তিতে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যাওয়া হয়নি জিতেন্দ্রর। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা দেখিয়ে শাসক দলেই থেকে যান আসানসোল পুরনিগমের এই পুরপ্রশাসক। কিন্তু ছাঁটা হয়েছিল তাঁর ক্ষমতা। তৃণমূল সূত্রে খবর, ভোটের আগে ফের সক্রিয় করা হচ্ছে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। দলের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে তিওয়ারিকে।
কয়েকদিন যাবৎ একাধিক জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে বিতর্কে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে জিতেন্দ্রকে। তখন থেকেই গুঞ্জান শুরু। এদিন তা সরকারি ভাবে প্রকাশ্যে এল। এদিন নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। উনি আমার ওপর ভরসা রেখে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। যোগ্যতার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করব। বিরোধীদের সব সমালোচনার জবাব তাদের মতো করেই দেব।‘
গত ডিসেম্বের থেকেই দলের বেসুরো বিধায়কের তালিকায় নাম লেখান জিতেন্দ্র। আসানসোল পুরসভার সার্বিক উন্নয়ন ও অর্থ বরাদ্দে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেবকলমে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গে রাখতে দৌত্য শুরু করে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। বৈঠক হয় অরূপ বিশ্বাস এবং দলীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। তারপর থেকেই ফের দল এবং প্রশাসনিক কাজে মন দেন জিতেন্দ্র। কিন্তু ঘুরিয়ে তাঁর ক্ষমতা ছেঁটে একটা বার্তা পাঠানো হয় রাজ্য নেতৃত্বের তরফে। কিন্তু ভোটের আগে ফের গুরু দায়িত্ব জিতেন্দ্রকে নিয়ে এসে অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে উদ্যোগ নিল ঘাসফুল শিবির। এমনটাই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক সূত্রে খবর।