আজ থেকে আর রাজ্য নয় জম্মু-কাশ্মীর। পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আজ পথচলা শুরু করছে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর। এই প্রেক্ষাপটে উপত্যকায় নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত মিলল। রাজনৈতিক বিকল্প তৈরির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মুজাফফর হোসেন বেগের মতো কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, তরুণ রাজনীতিকদের নিয়ে কাশ্মীরে রাজনৈতিক বিকল্প গড়ার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই খবর।
গত সোমবার কাশ্মীরে ইউরোপিয় পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে দেখা গিয়েছে তিন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক, কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মীদের। এই মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। অজিত ডোভালের ডাকা মধ্যাহ্নভোজে ওই রাজনীতিকদের উপস্থিতি এ জল্পনা বাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা রদের সময় থেকেই গৃহবন্দি করা হয়েছে মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লার মতো শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের। যার ফলে উপত্যকায় রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আর সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই এই রাজনৈতিক বিকল্পের ভাবনা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত ফড়নবীশ
আরও পড়ুন: ‘ভূস্বর্গে বিরোধীদেরও আসতে দিক ভারত’, ইইউ সাংসদের মন্তব্যে অস্বস্তিতে মোদী সরকার
প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মুজাফফর হোসেন বেগ ছাড়াও সেদিন মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী আলতাফ বুখারি ও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক উসমান মাজিদ। শ্রীনগরে ইউরোপিয় পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন কংগ্রেসের ফারুক আন্দরবি ও চান্নি সিং। এ প্রসঙ্গে বেগ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘প্রথমে কিছু অ্যাজেন্ডা থাকতে হবে, তারপরই কোনও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব। হয় নতুন করে কিছু করা হবে কিংবা পুরনোকেই পুনরুদ্ধার করা হবে’’। তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলব। আমাদের চিন্তাভাবনা তাঁদেরকে জানাব। এরপরই আমরা সরকারকে জানাব...ধীরে ধীরে সকলকে বোঝাতে হবে যে, আমরা আগামী দিনে রাজ্যের অধিকার চাই, আজ না হয় কাল, অদূর ভবিষ্যতে’’।
বারামুলার তরুণ রাজনৈতিক নেতা তৌসিফ রায়না এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যদি তাঁদের (নতুন রাজনৈতিক বিকল্প) দৃষ্টিভঙ্গি ভাল হয়, বোঝাপড়া ভাল হয়, এই অশান্ত পরিস্থিতি থেকে কাশ্মীরকে রক্ষা করতে তাঁরা যদি সক্ষম হন, তাহলে এ ধরনের রাজনৈতিক দলের অংশ হতে মুখিয়ে থাকব’’। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘উপত্যকায় বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সরাতে চায় কেন্দ্র। সোমবারের ওই সাক্ষাৎ এ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ছিল। আমাদের জন্য নতুন নেতা চায় নয়া দিল্লি’’।
Read the full story in English