গণতন্ত্রের সর্বোপরি বৈশিষ্ট্য হল নির্বাচন। এটা বন্ধ রাখা যায় না। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যথা শীঘ্র সম্ভব জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে বলেও এক নির্দেশে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের সেই রায়কে মান্যতা দিতেই জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন সম্ভবত লোকসভা নির্বাচন মিটতেই অনুষ্ঠিত হবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রামীণ এলাকায় ৪,৮৯২ টি নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ বছরের মেয়াদ মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে৷ এর ঠিক মাত্র দু মাস আগে, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩-এ দুটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, ১৯টি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল এবং 57টি মিউনিসিপ্যাল কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।
সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই। সূত্র জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯- এর সাংবিধানিক বৈধতার বিষয়ে রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের সময়সীমা উদ্ধৃত করে। জম্মু ও কাশ্মীরের সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচন ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সূত্র মারফত খবরে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের যাবতীয় পর্ব শেষ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত কর্মী, ইভিএম এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের একত্রিত করতে কিছুটা সময় লাগবে। জানা গিয়েছে যে নির্বাচন কমিশন তার লোকসভা নির্বাচন পর্যালোচনার অংশ হিসাবে জম্মু ও কাশ্মীর সফর করার সময় নির্বাচনের বিষয় নিয়ে সামগ্রিক ব্যবস্থা মূল্যায়ন করতে পারে।
এদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বিআর শর্মা ঘোষণা করেছেন যে ১৫ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভোটার তালিকা সংশোধন ও সংযুক্তির কাজ। কমিশন ২৬ ফেব্রুয়ারি পঞ্চায়েতের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।