'মানুষ যে দলে, সুযোগ পেলে আমিও সেই দলেই', বিজেপি ছেড়েই বড় ইঙ্গিত জয়ের

প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিয়ে দলের প্রতি অভিমানের কথা জানিয়ে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিয়ে দলের প্রতি অভিমানের কথা জানিয়ে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
joy banerjee left bjp

জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবার আর কোনও দলবদলু নেতা নয়, বিজেপি ছাড়লেন ঘরের ছেলে রূপোলি জগতের মুখ জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিয়ে দলের প্রতি অভিমানের কথা জানিয়ে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ দাবি, 'বিজেপি মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন। দোষ ত্রুটি সংস্কারের বদলে অন্য দলকে দোষারোপ করছে। ফলাফল আরও শোচনীয় হবে।'

Advertisment

বিধানসভা ভোটে বিজেপির হারের পর থেকেই দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দলকে আক্রমণের পাশাপাশি বেশ এই সময়কালে বেশ কয়েকবার তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। বিজেপি ছাড়াও দিনেও মুখে তৃণমূলের নাম না নিলেও ঘাস-ফুল ব্রিগেডকে 'মানুষের ভালোলাগার দল' বলে জানিয়েছেন তিনি। তাহলে কী এবার জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গন্তব্য তৃণমূল?

রূপোলি জগতের মুখ জয়ের মন্তব্য এক্ষেত্রে ইঙ্গিতপূর্ণ। তিনি বলেছেন, 'সিনেমা হোক বা যাত্রা, মানুষ জড়িয়ে রয়েছে আমি সবসময়ই এমন ক্ষেত্রেই কাজ করেছি। রাজনীতিতেও এসেছিলাম মানুষের সেবা করব, দেশ-রাজ্যের উন্নতি করব বলে। কিন্তু তা হল না। এখন যে পার্টি মানুষের খুব কাছাকাছি সুযোগ পেলে সেই পার্টি জয়েন করব।'

বিজেপি কেন ছাড়লেন? প্রধানমন্ত্রীকে করা ই-মেইলে জয় লিখেছেন, 'আপনাকে দেখে ২০১৪ সালের মার্চে বিজেপি যোগ দিয়েছিলাম। এরপর আমি আমার নিরাপত্তার কথা জানাতেই আপনারা আমায় জাতীয় কার্যনির্বাহী পদ দিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎই কয়েকদিন আগেই আমায় সরিয়ে রাজীব বন্দ্য্যোপাধ্যায়কে জাতীয় কার্যনির্বাহী পদ দেওয়া হল। এখন তিনিও থাপ্পড় মেরে দলবদল করে নিয়েছেন। দলের জন্য একাধিকবার আমি এই রাজ্যে মার খেয়েছি। তবুও আমার নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে আমি আপনার অনুমতি নিয়ে নিজেকে বিজেপি থেকে সরিয়ে নিলাম।'

Advertisment

রাহুল সিনহার প্রদেশ সভাপতিত্বের সময় জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে এসেছিলেন। দল ছাড়ার দিনেও জয়ের প্রতি কিছুটা সহানুভূতিশীলবিজেরিপ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। রাহুল সিনহা বলেছেন, 'উনি কয়েকটা অভিযোগ করেছেন, যেগুলি সত্য। আমরা অনেক পুরনো নেতাকে দলে যোগ্য সম্মান দিতে পারছি না। যতটা দরকার ছিল তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হচ্ছেন নেতারা। ফলে অনেকেই হতাশগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।'

পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, 'যে দলের পুরনো নেতা সেই দলে থাকতে পারন না, ভরসা রাখতে ব্যর্থ। বলেন মানুষ দলের সঙ্গে নেই। সেই দলের প্রতি সাধারণ দেশবাসী কীভাবে আস্থা রাখবেন?'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp West Bengal