Dilip Ghosh: রাজ্য বিজেপির পদ থেকে সরানো হল দিলীপ ঘোষকে। তাঁর জায়গায় বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি দলীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং সোমবার এই খবর জানান। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাই এই রদবদল করেছেন। এমনটাই পদ্ম শিবিরের জারি করা বিবৃতিতে উল্লেখ।
দায়িত্ব পেয়ে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ বলেন, 'দলের হয়ে সব দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। দলকে শক্তিশালী করাই মূল লক্ষ্য। বিজেপি আদর্শ নির্ভর দল। তাই নেতা আসবে-যাবে। কিন্তু, দল থাকবে, কর্মীরা দলের হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটে জিততে লড়াই করবে।'
এদিকে সময়ের আগেই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরানো হলেও আরও বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। কেন্দ্রীয় স্তরে সহ-সভাপতি পদে উন্নীত হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘জুলাইয়েসর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। ওনাকে আমি বলেছিলাম, সভাপতি হিসাবে আমি একধরনের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছি। মানুষ আমাদের বিরোধী দলের দায়িত্ব দিয়েছে। এবার বাংলার সংগঠনে নেতৃত্বের বদল প্রয়োজন। নতুন দিশায় দল এগোবে। আমাকে আজ সকালে নাড্ডাজি ফোন করেছিলেন। বললেন আমাকে সর্বভারতীয়স্তরে কাজে লাগাতে চায় দল। আমি বলেছি ভালো কথা। এখন রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সুকান্তবাবুকে দিয়েছেন। উনি যোগ্য লোক, উত্তরবঙ্গের মানুষ, শিক্ষিত। আশা করি আগামী দিনে বিজেপি বাংলায় আরও ভাল ফল করবে। আমাকে সহ-সভাপতি হিসাবে যে দায়িত্ব দল পালন করতে বলবে আমি করব।‘
একুশের ভোটের পর তৃণমূলে ঘর ওয়াপসির আগে এই পদে ছিলেন মুকুল রায়। বঙ্গ ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের পর থেকেই পদ খোয়াতে পারেন দিলীপ ঘোষ। এমন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। যদিও এই ব্যাপারে কিছুই বলেননি মেদিনীপুরের সাংসদ। সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই।‘ বিজেপির তরফে এই ঘোষণার পরেই ট্যুইট করে নতুন রাজ্য সভাপতিকে অভিনন্দন জানান দিলীপ ঘোষ। দেখুন সেই ট্যুইট:
এদিকে, দলবদলের মরশুমে বিজেপি থেকে তৃণমূলে উলটো স্রোত ফিরছে। যে তালিকায় নতুন সংযোজন বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপি ত্যাগ করেই তিনি ক্ষোভের নিশানা বানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সদ্যপ্রাক্তন সেনাপতি অর্থাৎ দিলীপ ঘোষকে। ভোটের আগে বিজেপি আয়োজিত যোগদান মেলায় বাছ-বিচার করা হয়নি। তাই গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ ভোটে পরাজয়। এমনকি, দিলীপ ঘোষের নাম করেই বিপর্যয়ের দায় তাঁর ঘাড়ে ঠেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
অপরদিকে, সম্প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য গড়ার দাবি তুলেছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক। এই দাবিতে কার্যত আড়াআড়িভাবে বিভক্ত বাংলার বিজেপি। বাংলা ভাগ নিয়ে কী মত নয়া বঙ্গ বিজেপি সভাপতির? সুকান্তবাবু জানিয়েছেন যে, 'দলীয়নীতি একটাই। বিজেপি অখণ্ড বাংলার পক্ষে। আমিও তার পক্ষেই।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন