বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার কৃষকদের মন জয়ে 'কৃষক সুরক্ষা অভিযান' কর্মসূচীর সূচনা করলেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। তার আগে এদিন নির্ঘারিত সময়ে কিছু পরে দিল্লি থেকে অন্ডালে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকেই কপ্টারে চলে যান কাটোয়ায়। রাধা-গোবিন্দ মন্দিরে পুজো দেন নাড্ডা। সেখান থেকে 'কৃষক সুরক্ষা অভিযান' কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। সূচনা করেন দলীয় কর্মসূচির। ওই মঞ্চ থেকেই কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প বাংলা চালু না করতে দেওয়া থেকে চাল চুরি, কাটমানির প্রসঙ্গে টেনে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় বেঁধেন জে পি নাড্ডা।
কাটোয়ার সভা থেকেই জে পি নাড্ডা বলেন...
* 'বাংলার মানুষ বিজেপিকে চাইছে। ক্ষমতায় এলে বাংলার কৃষকদের উন্নয়ন করবে বিজেপি সরকার। কৃষকরা বিচার পাবেন।'
* 'মমতা দিদি বাংলার মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে সংকল্প নিয়েছে। আপনার চলে যাওয়া নিশ্চিত।'
* 'মতার জন্যই কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প থেকে বাংলার কৃষকরা বঞ্চিত।'
* 'এখন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে বলছেন বাংলায় কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প চালু হবে। আমি বলছি মমতা দিদি তার আর প্রয়োজন নেই। বাংলায় বিজেপির ক্ষতায় আসা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ৪০ হাজার গ্রামের কৃষকদের সংগঠিত করা হবে। ২৪-৩১ জানুয়ারি হবে কৃষক ভোজ কর্মসূচি।'
* 'তৃণমূল মানেই চাল চোর। কোভিড পরিস্থিতিতে চাল চুরি করেছে তৃণমূল। আমরা রেশন দি, ওরা চুরি করে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামও চুরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কৃষাণ সম্মান নিধি, অযুস্মান ভারত চালু হবেই।।'
* 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন মা, মাটি, মানুষের সরকার। কিন্তু আসলে ওটা তোলাবাজি, তুষ্টিকরণ ও তাবেদারির সরকার। '
একদিকে, দিল্লি সীমানায় চলছে কৃষক আন্দোলন। অন্যদিকে, কিষাণ নিধি প্রকল্পে কেন্দ্র-রাজ্য তরজার মাঝেই বাংলায় তা বাস্তবায়ণের সম্মতি দিয়েছে মমতা সরকার। এই প্রেক্ষাপটে কৃষকদের বার্তা দিতেই নাড্ডার এবারের রাজ্য সফর বলে মনে করা হচ্ছে।
নাড্ডার সফর উপলক্ষে গোটা বর্ধমান জেলা গেরুয়া ফ্ল্যাগ ফেস্টুনে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
কৃষক সভা শেষে গ্রামের পাঁচ কৃষকের বাড়ি থেকে এক মুঠো করে শস্য সংগ্রহ করছেন নাড্ডা। দুপুরে কৃষক পরিবারে খাওয়া দাওয়া সারেন তিনি।
এরপর কাটোয়া থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সোজা চলে যান বর্ধমান শহরে। সেখানেই রোড়-শোতে করার কথা তাঁর।
'কৃষক সুরক্ষা অভিযান' কর্মসূচীর সূচনায় নাড্ডা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন